দিঘলিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দারার প্রণসংযোগ

প্রকাশিত: ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩

বর্তমান খবর,দিঘলিয়া,খুলনা প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুলনা- ৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দারা কেটলি প্রতীক নিয়ে গতকাল দিঘলিয়া উপজেলার নগরঘাট,মজিদ কলেজ মোড়,মোড়ল মার্কেট, কেবলশিল্প খেয়াঘাট, বারাকপুর বাজারে গণসংযোগ ও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালান। পরে তিনি প্রয়াত সাবেক দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ আফজাল হোসেন ও মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুর রহমান এর কবর জিয়ারত করেন।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম গোলাম রহমান, কৃষক লীগের জুলফিকার আলী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাসির হোসেন, কওসার মোড়ল, জনি খান, তুহিন গাজী সহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম গোলাম রহমান বলেন, দলের পদ পদবীধারীরা প্রকাশ্যে না থাকলেও ভেতরে ভেতরে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছেন আর সাধারণ ভোটাররা দারাকে সমর্থন করছেন। বিগত দিনে দলের নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এ কারণে দলের ভেতরে ও বাইরে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ধারাকে ইতিমধ্যে সমর্থন জানিয়েছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোস্তফা রশিদ দারা বলেন,আমার কর্মীকে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে হত্যার হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারী ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারলে কেটলি প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গণসংযোগ কালে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উচ্চ আদালত থেকে রায় পেয়ে কেটলি প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে দারা ফিরে আসায় নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ আব্দুস সালাম মুর্শেদী শিবিরে চিন্তা বেড়ে গেছে।

মুসলিম লীগের দুর্গ হিসাবে পরিচিত ছিল রূপসা,তেরখাদা ও দিঘলিয়া নিয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় জাতীয় পার্টি ও বিএনপি আসনটি নিজেদের দখলে রাখেন। প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক হুইপ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা গুটি গুটি পায়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ১৯৯১, ১৯৯৬, ও ২০১৪ সালে এই আসন থেকে তিনি বিজয়ী হন।

রুপসা,তেরখাদা ও দিঘলিয়ার মানুষ সুজাকে উন্নয়নের রূপকার হিসাবে চিনতো। এ অঞ্চলে তার ছিল ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এ জনপদের মানুষ তাকে এখনো স্মরণ রেখেছে। এস এম মোস্তফা রশিদি দ্বারা সাবেক হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই। সাবেক হুইপ সুজা ২০১৮ সালে মারা গেলে এই আসনটিতে মনোনয়ন পান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জাতীয় দলের ফুটবলার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ‘নবাগত’ আব্দুস সালাম মুর্শেদী। চলতি বছরও নৌকার টিকিট তিনি পেয়েছেন।

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সুন্দরবন কলেজের সাবেক ভিপি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ক্রীড়া সংগঠক, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী দারা কেটলি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতিমধ্যে তার সমর্থক ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। দিঘলিয়া উপজেলার সেনাটিতে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া গাজী প্রকাশ্যে তার সমর্থক খুলনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক ইউপি সদস্য রওশন আরা রিনীকে হুমকি প্রদান করেন।