খুলনার দিঘলিয়ায় আনসার ভিডিপির বাৎসরিক ৯৬ হাজার টাকা চলে যায় ভূতের বাড়ি।

প্রকাশিত: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

বর্তমান খবর,দিঘলিয়া(খুলনা)প্রতিনিধি: খুলনার দিঘলিয়ায় আনসার ভিডিপির বাৎসরিক ৯৬ হাজার টাকা চলে যায় ভূতের বাড়ি জন নিরাপত্তা বিভাগ ১২২ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিকট প্রতি বছর কম্পিউটার সামগ্রী বাবদ ৮,৫০০/- বৈদ্যুতিক বাবদ ৭,০০০/-অন্যান্য খরচ বাবদ ৬৬,০০০/- হাজার টাকা জন নিরাপত্তা বিভাগ প্রদান করে থাকে সব মিলিয়ে প্রায় ৯৬,০০০/- কিন্তু কোন বছরেই এই টাকার অংশ থেকে ১ টাকা ও ব্যায় হয়না। সব চলে যায় ভূতের বাড়ি এমনই কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে এমনকি একটি গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপজেলা পর্যায়ে অফিসে বছরে বিশেষ ১-২ দিন ছাড়া কখনো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোম্পানি কমান্ডার,আনসার কমান্ডার,ইউনিয়ন কমান্ডার,ভিডিপি দলনেতা ঈদের অনারিয়াম ও পায়নি, সুএে জানা যায় যে ঈদুল ফিতরের ঐ টাকা পেতে হলে দিঘলিয়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার শামসুন্নাহার খানম ৭.৫ পারসেন্ট ভ্যাট কাটবে, যা কোন দিন নিয়ম এর মধ্যে ছিল না। শুধু এখানেই শেষ নয় প্রতিবছরে উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় বিভিন্ন সরঞ্জাম বাবদ বিভিন্ন রকম বিভিন্ন অংকের টাকা আসে যা কখনোই উল্লেখিত কোন খাতে ব্যয় করা হয়নি।

প্রতিবছরে ঈদ হোক বা পূজা বা নির্বাচনী ডিউটি ঘুষ-বানিজ্য চলছেই এমন অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয় কোম্পানি কমান্ডার,আনসার কমান্ডার, ও ইউনিয়ন কমান্ডার ভিডিপি এর দলনেতার সাথে কিন্তু কোন বিষয় তারা মুখ খুলতে রাজি নয়। তবে এরা অনেকেই বলেন এসব বিষয় উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার শামসুন্নাহার খানম নিজেই দেখভাল করেন।

গত ২০২৪ এর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনসার সদস্য নিয়োগে দল নেতাদের মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম ও অগ্রীম ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাচনের আগে আনসার সদস্যদের নিয়োগে দলনেতাদের মাধ্যমে ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ঘুষ বাণিজ্য করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটারদের আনা নেওয়ার জন্য কেন্দ্র প্রতি ভ্যান ভাড়ার ১ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও ভ্যান ভাড়া করা হয়নি। বরাদ্ধের ব্যাপারটা দলনেতাদের জানানো হয়নি বলে জানা গেছে।

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি দপ্তরের কন্টিজেন্সীর বরাদ্দ থাকলেও সে টাকা খরচ করা হয় না। সদস্যদের নিকট থেকে টাকা তুলে সব কাগজপত্র কেনাকাটা করা হয় বলে জানা যায়। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ৪৯ টি ভোট কেন্দ্রে ৩৯২ জন পুরুষ ও ১৯৬ জন মহিলা সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতি কেন্দ্রে ৮ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ২৩ জন ভাতাভোগী সদস্যও ছিলেন।

এ সকল আনসার সদস্যদের ৩ জানুয়ারী থেকে ৮ জানুয়ারী ৬ দিন দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও তাদের শুধু নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করতে হয়। ৬ দিনের খাবার যাতায়াত ভাতাসহ দল নেতাদের জন্য ৭ হাজার টাকা ও সদস্যদের জন্য ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রতিটা নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশিক্ষিত আনসার সদস্যদের তালিকা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার শামসুন নাহার ইউনিয়ন দল নেতাদের মাধ্যমে তালিকা তৈরির নিয়ম থাকলেও তিনি তা করেননা বা করেননি। তিনি তার আস্থাভাজন সদস্য বা দল নেতাদের মাধ্যমে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা অগ্রীম অর্থ বাণিজ্যের মাধমে তালিকা প্রস্তুত করেছেন। যে সকল দল নেতা বা যে সকল সদস্যরা অগ্রীম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তাদের নির্বাচন ডিউটি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

দ্বদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী আনসার সদস্যদের খাবার ভাতা ৭০০ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা পেয়েছে ৪৩৭ টাকা। জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কেন্দ্র প্রতি বকশীশ দিলেও কোনো আনসার সদস্যদের তা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার শামসুন নাহার ইউনিয়ন দল নেতাদের মধ্যমে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে এ লাখ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য চালিয়েছেন বলে জানা গেছে। যারা আগ্রীম টাকা দেয় নি তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ করেছেন আনসার সদস্য ও দল নেতারা। এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার শামসুন নাহার এর সাথে।

তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করাতে প্রশিক্ষিত আনসারদের চাহিদা অনুযায়ী তালিকা করা হয় ইউনিয়ন দল নেতাদের মাধ্যমে। তারা কোনো টাকা নেয় কিনা জানিনা। এদিকে কথা হয় আনসার ও ভিডিপি এর খুলনা জেলা কমান্ডেন্ট মোঃ সাইফুদ্দিন এর সাথে। তিনি বলেন, আনসার সদস্যদের নির্বাচন ডিউটিতে নিয়োগে এভাবে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এরূপ করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক মাস পার হয়ে গেল এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বা কোন তদন্ত।