দিঘলিয়ায় ভিপি জমিতে পাকা বাড়ী ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসে রেকর্ডে আছে ভিপি কিন্তু বাড়ির মালিক দেখাচ্ছে দলিল।

প্রকাশিত: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২৪

বর্তমান খবর,দিঘলিয়া(খুলনা)প্রতিনিধি : খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন এর লুৎফরের বটতলা নামক স্থানে প্রায় ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে ১ তলা বিশিষ্ট আলিশান একটি ছাদ করা বাড়ি, ২০-২১- সালের শেষ দিকে ঐ বাড়ির সামনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:মাহাবুবুল আলম দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) অফিস এর নেতৃত্বে একটি সাইনবোর্ড দেওয়া হয় তাতে উল্লেখ করা হয় এই জমি সরকারী সম্পত্তি এবং জমির পরিমাণ দাগ নাম্বার সহ বিস্তারিত উল্লেখ করা ছিল।

কিন্তু হটাৎ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:মাহাবুবুল আলম এর পদোন্নতি জনিত কারণে বদলি হয়ে যাওয়ায় ২২- ২৩ সালে উক্ত জমির ওপরে থাকা সেই সাইনবোর্ড টি উধাও হয়ে যায়। এবং প্রধান সড়কের পাশে উক্ত জমি থাকায় তড়িঘড়ি করে রাস্তার পাশে টিনের বেড়া দিয়ে ভিতরে তৈরি হয় আলিশান ১ তলা ছাদ বিল্ডিং এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্ধের সৃষ্টি হলে তারা নানাভাবে আলোচনা সমালোচনা করতে থাকলে এক পর্যায়ে উক্ত জমির বিআরএস দাগ নাম্বার ২০০৩ নিয়ে খোঁজ নেওয়া হয় সেনহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেখানে গিয়ে ঐ দাগ নাম্বার দিয়ে সরকারী তালিকায় লিপিবদ্ধ থাকা বইয়ের থেকে জানা যায় উক্ত সম্পত্তি সম্পূর্ণ ভিপি যার ক্রমিক নং ১৯৪ লিস কেস নং-৩৫৪ /৬৬/৬৭ তাং- ২১/৯/ ৬৭ ইং।

এ বিষয়ে উপজেলা সরকারি কমিশনার ( ভূমি ) মো: জাকির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে, এবং ঐ জমিতে বসবাসরত প্রভাবশালী বিএনপি নেতা তাইজুল ব্যাপারী ও তার পরিবার জানান যে তাদের কাছে জমির দলিল রয়েছে এক পর্যায়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি )উক্ত দলিল নিয়ে অফিসে হাজির হতে বলেন। এর ঠিক দুইদিন পরেই তাইজুল বেপারীর পক্ষে বেশ কিছু কাগজপত্র এবং দলিলাদি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)মো: জাকির হোসেনের নিকট প্রেরন করা হয় সেখানে উল্লেখ করা হয় উক্ত জমি দলিল রেকর্ড হিসেবে রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হয় সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:মাহবুবুল আলমের সঙ্গে তিনি ফোন কলে জানান ওই জমি ভিপি জমি এবং সেটি জোর দখলে থাকার চেষ্টা ছিল আমি তো সেখানে সাইনবোর্ড দিয়ে এসেছিলাম। এক পর্যায়ে তাইজুল বেপারীর বাড়িতে জমি এবং বাড়ি সম্পর্কে ও সরকারি সাইনবোর্ডের বিষয়ে জানতে চেয়ে উক্ত বাড়িতে গণমাধ্যম কর্মী গেলে তারা বলেন এই জমি আমাদের আমাদের দলিল আছে তখন দলিল দেখতে চাইলে তাইজুল ব্যাপারীর স্ত্রী জানান দলিল কোর্টে রয়েছে আমাদের মামলা চলছে।

তবে গণমাধ্যম কর্মীর সঙ্গে একথা হওয়ার দুইদিন পরেই দলিল তাইজুল বেপারীর পক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) এর অফিসে হাজির করা হয়। এ বিষয় নিয়ে উক্ত জমির ম্যাপ অনুযায়ী ডাকা হয় সার্ভেয়ার কে তিনি জমির ম্যাপ দেখে জানান যে এই জমি ভিপিতে রয়েছে এ বিষয়ে কথা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর প্রধান অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম সুমন এর সঙ্গে এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম সুমন বেশ কিছু কাগজপত্র উক্ত গণমাধ্যম কর্মীকে দেখিয়ে বলেন এই জমি রেকর্ড করা হয়েছে রেকর্ড করে দিয়েছেন ডিসি সাহেব।

বেশ এক মাস অতিবাহিত হলেও এ বিষয়ে কোন অগ্রগতি না দেখে উক্ত গণমাধ্যম কর্মী কথা বলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: জাকির হোসেনের সঙ্গে জাকির হোসেন জানান ওই জমির ব্যাপারে এখনই কোন পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না তারা যে কাগজপত্র দেখিয়েছে তাতে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুম বিল্লাহ স্যারের সাথে কথা বলে কি করা যায় দেখি। তারপর উক্ত গণমাধ্যম কর্মী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে কথা বললে মাসুম বিল্লাহ জানান এ বিষয়ে আপনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)মো: জাকির হোসেন সাহেব এর সাথে কথা বলেন।

এভাবেই চলতে থাকে নাটকীয়তা। এরই মধ্যে বেরিয়ে আসে অনেক মাথা ধরা ব্যক্তিত্ব যার মধ্যে দুই একজন সরাসরি উক্ত গণমাধ্যম কর্মীকে জানান ওই জায়গায় আর না যেতে।

সরকারি ভিপি জমি প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন এবং তার বদলি হলে সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে নির্মাণ করা হয় একতলা বিশিষ্ট পাকা বাড়ি,লোক চক্ষুর আড়াল করতে রাস্তার পাশে দেওয়া হয় টিনের বেড়া, সংবাদ মাধ্যম খবরের জন্য গেলে জানানো হয় জমির দলিল আছে। দিঘলিয়া সহকারী কমিশনার ( ভূমি) কে তথ্য দিলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অবশেষে দুই মাস অতিবাহিত হলে সব আবার নিরিবিলি ঠান্ডা হয়ে যান।

বিষয়টি নিয়ে উক্ত গণমাধ্যম কর্মী সহকারী কমিশনার ভূমি মো: জাকির হোসেনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলতে গেলে বা পরামর্শ করতে গেলে কোন প্রকারই সময় হয়ে ওঠে না তার এমনকি নানাভাবে সহকারী কমিশনার ভূমি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকেও বিষয়টি অবগত করলে তিনি বিষয়টি চাপিয়ে দেন সহকারী কমিশনার ভূমি এর উপরে।

এমনই শুধু তাইজুল বেপারী চল্লিশ শতক নয় বরং পুরো দিঘলিয়া উপজেলা জুড়ে অসংখ্য ভিপি জমি, ও খাস খতিয়ানের জমি রয়েছে সরকারের বেদখলে যা কিনা অন্যান্য বড় মাথা দের নেতা গোতাদের ছত্রছায়ায় রয়েছে দখলে। এ সমস্ত বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে তথ্য দিলেও হচ্ছে না কোন প্রতিকার তাই দিঘলিয়া উপজেলায় ভূমিদস্যুতা ভিপিও খাস জমি দখল, উচ্ছেদ অভিযান সকল বিষয়ে খুলনা জেলার সকল ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন দিঘলিয়া বাসি।