বীরগঞ্জের সিংড়া জাতীয় উদ্যানে ৯টি শকুন অবমুক্তর অপেক্ষায়

প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২৪

বর্তমান খবর,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: বন বিভাগের দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের সিংড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করার অপেক্ষায় বিরল প্রজাতির ৯টি শকুন। প্রতিবছর এ উদ্যান থেকে ১৯-২০টি করে শকুন অবমুক্ত করা হয়। গতবছরে বিরল প্রজাতির অসুস্থ ২০ শকুনকে বনের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার ও পরিচর্যাকেন্দ্রে এনে নিবিড় পরিচর্যা শেষে সুস্থ করে অবমুক্ত করা হয়। শকুনের অস্তিত্বের রক্ষায় এ উদ্যোগ প্রকৃতিতে অপরিসীম ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

জানা যায়, প্রকৃতির ঝাড়ুদার বলে পরিচিত শকুন এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রকৃতিতে ভারসাম্য রক্ষায় ২০১৬ সালে জেলার বীরগঞ্জের বটতলী এ জাতীয় উদ্যানটি গড়ে তোলা হয়েছে শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যাকেন্দ্র হিসেবে।

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরা পড়া শকুন উদ্ধার করে আনা হয় এই কেন্দ্রে। তারপর চিকিৎসা ও পরিচর্যা করা হয়। উড়তে সক্ষম হলে এদের পায়ে বাংলাদেশ লেখা বিশেষ ট্যাগ লাগিয়ে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।

শকুন রক্ষা ও বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার সিংড়া ফরেস্ট জাতীয় উদ্যানে শকুন পরিচর্যা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রে বিভিন্ন জেলা থেকে শকুন সংগ্রহ করে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। পরে সবল ও সুস্থ হলে আবার প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়। বিলুপ্ত প্রায় এই পাখি দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে উদ্যানে আসছেন অসংখ্য দর্শনার্থীরা।

জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসুস্থ ও আহত অবস্থায় শকুন উদ্ধার করে শকুন রক্ষা এবং বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে সিংড়া ফরেস্ট জাতীয় উদ্যান কেন্দ্রে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়। সুস্থ হলে আবার তাদেরকে অবমুক্ত করা হয় মুক্ত আকাশে। প্রকৃতির ঝাড়ুদার হিসেবে পরিচিত বিলুপ্ত প্রায় এই শকুন শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আসে। দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়া এসব শকুন অনেক সময়ই অসুস্থ হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নামে। আগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব শকুন উদ্ধার হলেও পরিণতি হতো মৃত্যু। কিন্তু দিনাজপুরে বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া ফরেস্টে জাতীয় উদ্যানে শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র স্থাপনের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।

এবিষয়ে বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বন বিট কর্মকর্তা দয়া প্রসাদ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, ‘এবার অবমুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৯/১০টি শকুন। তবে এই জাতীয় উদ্যানে একটি শকুন অতিথি হয়ে রয়েছে অনেক দিন।’ বর্তমানে ৯টি শকুন সুস্থ হয়ে চলাফেরা করছে। শকুন অবমুক্ত করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদর্শনার অপেক্ষায় রয়েছে।