পুলিশ চাকুরিতে ‘তদবির-সুপারিশ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’

প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪

বর্তমান খবর,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: ‘তদবির-সুপারিশ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। চুয়াডাঙ্গায় ২৮ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমার।

এসপি ফয়জুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় ২৪ জন পুরুষ কনস্টেবল এবং ৪ জন নারী কনস্টেবল পদে নিয়োগ হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সমপন্ন হবে। সরকার নির্ধারিত ১২০ টাকা আবেদন পত্রের সাথে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে সকল আবেদনকারীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই এবং ২২ ফেব্রুয়ারি শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে উত্তীর্ণদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হবে প্রার্থীর শারীরিক ফিটনেস প্রমান সাপেক্ষে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে।

এ সময় তিনি জেলাবাসীর সচেতন করতে জোর দিয়ে বলেন, যার চাকরি হবে তার মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে চাকরি হবে। এখানে অন্যথা করার কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে কোন তদবির বা সুপারিশ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দালাল ও প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। আমরা ইতিমধ্যে এমন কিছু বার্তা পেয়েছি। এসব ব্যাপারগুলো আমরা জোর দিয়ে দেখছি। এবার এমন কোন প্রতারনার সুযোগ নেই। খবর পাওয়া মাত্রই ওই দালাল ও প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, ডিআই-১ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাহ আলম সনি, চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, এম এম আলাউদ্দিন, বিপুল আশরাফ,জহির রায়হান, হুসাইন মালিক,খাইরুজ্জামান সেতু,সোহেল সজীব,সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা।