হাঁড়িভাঙ্গা আম যেন কৃষকের আশির্বাদ

প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৪

বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো: আমের নাম আসলে হাঁড়িভাঙ্গা আমের নাম আসে না এমন ঘটনা খুবই কম। রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশীদের মনে স্থান দখল করে নিয়েছে। অনেক দেশের প্রধানগণ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে পেয়েছেন হাঁড়িভাঙ্গা আম। চিনুক আর নাইবা চিনুক বাজারে গিয়ে বলে এটা কি হাঁড়িভাঙ্গা আম। সেই হাঁড়িভাঙ্গা আমের মুকুলে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন রংপুরের আম চাষিরা। বৈরী আবহাওয়া না হলে চলতি মৌমুমে সাধারণ আমের পাশাপাশি হাঁড়িভাঙা আমের বা¤পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।

কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রংপুরে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙ্গা আমের গাছ রয়েছে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আম। রংপুর সদরের পালিচড়া, বদরগঞ্জের শ্যামপুর, মিঠাপুকুরের খোড়াগাছসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, ছোট বড় বাগানগুলোতে গেছে গাছজুড়ে আমের মুকুল। মুকুল ফোটার এমন দৃশ্য এখন শুধু বিস্তৃত গ্রামীণ জনপদেই নয়, শহরের গাছে গাছেও সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল।

মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ ইউনিয়নের জারুল্লাপুর গ্রামের আম চাষি রুবেল মিয়া বলেন, ফেব্রæয়ারি মাসে শুরু করে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমের মুকুল এলে কৃষকরা আম বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঝড় কিংবা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভালো হবে। হাঁড়িভাঙ্গা আম রংপুরে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। রংপুরের অর্থনীতিতে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে হাঁড়িভাঙ্গা আম।

বদরগঞ্জ উপজেলার আম চাষি মকবুল হোসেন বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ করে বেশী লাভবান হচ্ছেন। কারণ বাজারে এই আমের চাহিদা বেশী হওয়ায় বাজার মূল্য ভাল পাওয়া যায়। বাজারে হাঁড়িভাঙ্গা আম দেখলেই অনেকে লোভ সামলাতে না পেরে আম ক্রয় করে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের দুলাল গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আম অনেক সুস্বাদু। বাজার দর ভাল ও চাহিদা বেশী। চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাড়ীর পাশে ৬ শতাংশ কয়েকটি হাঁড়িভাঙ্গা আমের গাছ লাগানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে চলতি বছর এসব গাছ থেকে আম পাওয়া যাবে।

রংপুর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, চলতি মৌসুমে হাঁড়িভাঙ্গা আমের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন বেশী হবে। গত বছরে রংপুর অঞ্চলে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙ্গা আমের চাষ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এ বছর হাঁড়িভাঙ্গা আমের ফলন বেশি আসবে। কারণ গত বছর যেই বাগানগুলো ছোট ছিল সেগুলোর ফল ধরবে এবং আমের উৎপাদন শুরু হবে। যার কারণে গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে হাঁড়িভাঙ্গা আমের উৎপাদন বেড়ে যাবে।