ক্ষমতার অপব্যবহারে আঙুল ফুলে কলাগাছ মুসলিম ঢালি

প্রকাশিত: ২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
মুসলিম ঢালি

বর্তমান খবর,বিশেষ প্রতিনিধি : দেশের তৈরী পোষাক শিল্পে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর সুনাম র্দীঘদিনের। গার্মেন্টস পল্লীর ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে ও ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ করে কাজ করার লক্ষে সেখানকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালকি সমিতি নামে ১৯৮৬ সালে একটি সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬ হাজারের মতো। প্রতি তিন বছর পর পর ব্যবসায়ীদের ভোটে সমিতির র্কাযনির্বাহী পরিষদ গঠিত হয় এবং র্কাযনর্বিাহী পরষিদ ব্যবসায়ী এলাকার সমস্ত সমস্যা সমাধান,বিচার সহ ব্যবসায়ীদের র্স্বাথে কাজ করে থাকে কিন্তু গত দুই নির্বাচনে দেখা গেছে সমিতির বর্তমান সাধারন সম্পাদক মুসলিম ঢালি কোন প্রকার নির্বাচন না দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সংশ্লষ্টি সকল কে ম্যানেজ করে সমিতির গুরুত্বর্পূন পদ ম্যানেজ করে নিয়ে নানান ধরনের ধরনরে অপর্কমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছে।

জানা যায়,মুসলিম ঢালি তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ও মোট অংকের অর্থ ব্যায় করে ২০১৯ সালে প্রথমে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালকি সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদককের পদ ম্যানেজ করে নেন। মুসলিম ঢালির পিতা : আঃ আজিজ ঢালি,মাতা: মাসুদা বেগম :ঠিকানা :১ নং কেচিশা, ইস্পাহানী, জিনজিরা,কেরানীগঞ্জ,ঢাকা। ভোটার আইডি কার্ড নং : ৫৯৮৬২১৯৪৩৩।

২০১৯ সালের মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হবার পরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে রাতা রাতি টাকার কুমির বনে যান মুসলিম ঢালি। গার্মেন্টস পল্লীর বিভিন্ন মার্কেট কমিটি দেওয়ার বিনিময়ে মোট অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। ঘুষের বিনিময়ে ব্যবসায়ীদের বিচারে পক্ষপাতিত্ব শুরু করেন। সমিতির সাধারন সম্পাদকের পদের প্রভাব খাটিয়ে এবং নানান মহল দিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে দুর্নীতি করে এলাকার বিভিন্ন ডেভলপার কাজ জোড় পূর্বক ছিনিয়ে নেওয়া শুরু করেন। নাগর মহল রোডের রোডের মামুন টাওয়ার তার একটি জলজেন্ত উদাহরণ।

এছাড়াও সমিতির সাধারন সম্পাদক পদটির প্রভাব খাটিয়ে নানান মাধ্যমে দুর্নীতি করে উর্পাজন শুরু করনে। এতে গত কয়েক বছরে রাতারাতি টাকার কুমির বনে গেছেন তিনি। তার রয়েছে জিলা পরিষদ মার্কেটে ৪টি দোকান। নাগর মহল রোডে মুসলিম টাওয়ার নামে একটি সুবিশাল ৭ তলা মার্কেট,কেচিশাতে ১২ তলা বিশিষ্ট বিশাল এক অট্টালিক,ওয়ারীতে ২টি অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট,নাগর মহল রোডে মামুন টাওয়ারের নীচতলায় পুরো পজিশন কেনা,এস আর মহলের নীচ তলার অংশ কেনা ,রাজেন্দ্র পুরে কয়েকশ শতাংশ জমি,দক্ষিন কেরানীগঞ্জে থানা সংলগ্ন প্রজেক্টে জমি,ঝিলমিল আবাসিক প্রজেক্টে জমি সহ বিভিন্ন ভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

এছাড়াও তার স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের অন্যদের নামে বেনামে রয়েছে প্রচুর সম্পদ। এত সম্পদ থাকার ট্যাক্স অফিসারদের ম্যানেজ করে বছরে মাত্র ১৯ হাজার টাকা ট্যাক্স প্রদান করেন। প্রায় দুইশক কোটি টাকার সম্পদ থাকলেও ট্যাক্স ফাইলে তার মোট সম্পদ দেখানো হয়েছে মাত্র আড়াই কোটি টাকা। এতে করে সরকারকে বছরে মোটা অংকের কর থেকে বঞ্জিত করছে যা বাংলাদেশের আইনে দ্বন্ডনীয় অপরাধ।

এক দিকে যেমন সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে মোট অংকের টাকা ইনকাম করছে অপর দিকে সরকারকে কর ফাঁকি দিচ্ছে ।

উল্লেখ্য কিছুদিন আগে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোড় পূর্বক তাকে নিয়মিত ধর্ষন করে আসছিল। পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ঐ নারী মুসলিম ডালির সাথে তার একান্ত অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে যা ভাইরাল হয়। ভাইরাল হবার পরে ফারিহা নামে ঐ নারীকে মুসলিম ঢালি বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল দিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ঠা করে এবং তার পরিবারকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিষয়টি ম্যানেজ করে।

মোবাইলে মুসলিম ঢালির কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেন। পরবর্তী মোবইলে কল করা হলে আবারও তিনি একই কথা বলে লাইন কেটে দেন।

মুসলিম ঢালির জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের বিষয়ে তদন্তর্পূবক ব্যবস্থা নিতে দুদকে অভিযোগ করেছেন রাকির হাসান নামে একব্যাক্তি । দুদকে অভিযোগের চিঠির কপি এসেছে বর্তমান খবর এর হাতে।