মোহনপুরে সরকারি বিল উন্মুক্ত করণ ও অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪

বর্তমান খবর,রাজশাহী প্রতিনিধি ঃ রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়নের বিলপোন ও বিলহিন্না সহ পারিলাডাঙ্গা সরকারি বিল উন্মুক্ত করণ ও অবৈধ ইট ভাটা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলা চত্বরে এ মানববন্ধন করা হয়।রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুরঞ্জিত সরকার, এর সভাপতিত্বে: মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,কেশরহাট পৌরসভা শ্রমিক লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম,রায়ঘাটি ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক সূর্য্যকান্ড হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুদাস চন্দ্র হালদার, ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি খাজের আলী, ১নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ফটিক চন্দ্র হারদারসহ শাতার্ধিক এলাকাবাসি।

পরে তারা বিষয়টি নিয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দাকা,সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস,অফিসার ইনচার্জ হরিদাস মন্ডল এর সাথে আলোচনা/মতবিনিময় শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মোহনপুর উপজেলার হাটরা কালিতলা রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের পার্শে একই স্থানের দুটি অবৈধ, অনুমোদনহীন ও পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ইট ভাটা করে দীর্ঘ দিন যাবত এলাকা পরিবেশ দূষণ ও কৃষকের আম, কাঁঠাল, ডাব-নারিকেল, ধান সহ সকল ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে আসছে এবং তাদের অবৈধ টাক্টারে করে কাদা-মাটি বহন করে মূল্যবান মহাসড়কে কাদা-মাটি ফেলে চলাচলের অযোগ্য করে এবং এতে করে প্রাণহানির মত বড় বড় সড়ক দূর্ঘটনা হতে থাকে। এই ইট ভাটাই গাছপালার খড়ি ব্যবহার করে যা প্রকৃতির জন্য হুমকি স্বরুপ এবং এই ভাটার ইটের পরিমাপ সঠিক নয়। তাই কৃষক বাঁচাতে ও পরিবেশের দূষণ রোধে ভয়াবহ ভাটাটি উচ্ছেদের প্রয়োজন।

অভিযোগে আরোও উল্লেখ করা হয়, আমরা রায়ঘাটী ইউনিয়নের বিলপোন ও বিলহিন্না বিলের প্বার্শবর্তী পারিলাডাঙ্গা সহ বিভিন্ন গ্রামের মৎস্যজীবি দীর্ঘ ৭ বছর
যাবত আমাদের বিলে মাছ আহরণ করতে নামতে পারি নাই। কারন আমাদের এলাকার সাবেক এমপিআয়েন উদ্দীনের দোষর দখলবাজ খলিলের বিল দখল ও অত্যাচারের কারনে আমরা মৎস্যজীবিরা অসহায় জীবন যাপন করছি। এই খলিলুর রহমান সাবেক এমপি আয়েন উদ্দীনের প্রভাব খাটিয়ে ভূয়া মৎস্যজীবি সেজে খোলাগছি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি হয়ে সমিতিটি রেজিষ্ট্রেশন করে।

এই ভূয়া মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি খলিলুর প্রভাব খাটিয়ে তার সমিতির অনকূলে বিলপোন ও বিলহিন্না বিলটি প্রকৃত মৎস্যজীবিদের বঞ্চিত করে লীজ গ্রহণ করে ও বিলটি থেকে আমাদের মৎস্যজীবিদের বিতাড়িত করে। লীজের শর্তের কোনটিই এই ভূয়া লীজ গ্রহিতা খলিলুর মানে নাই। সুতরাং এই ভূয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের অধিকার নিশ্চিত করার আবেদন জানাচ্ছি।

জানতে চাইলে এম.আর.এ. বিকস ভাটার মালিক রমজান আলী বলেন, আমার ইট ভাটার বৈধ কাগজ পত্র আছে। যে ইট ভাটার গুলোর কাগজ পত্র নাই। সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার।

এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, অভিযোগ পর্যালোচনা করে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।