নদী সুরক্ষায় ঘাঘট নদীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১১:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২৫

বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো:

নদী সুরক্ষায় পুরোনো ব্যবস্থাপনা ভেঙে নতুন ব্যবস্থপনা গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছে রিভারাইন পিপল ক্লাব। আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার দুপুরে রংপুর নগরীর প্রয়াস সেনাপার্ক সংলগ্ন ঘাঘট নদীর পাড়ে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ আহŸান জানান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন রিভারাইন পিপল ক্লাব।

নদী ধ্বংসের প্রতিবাদে ঘাঘট নদীর পানিতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন নদী গবেষক,সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এতে রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহŸায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্ত এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড.তুহিন ওয়াদুদ,বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও আয়োজক সংগঠেনের উপদেষ্টা খাইরুল ইসলাম পলাশ,রিভারাইন পিপল ক্লাবের সংগঠক শামসুর রহমান সুমন,মইন উদ্দীন,আজিজুল হক,শাহরিয়ার নাফিস প্রমুখ।

নদী গবেষক অধ্যাপক ড.তুহিন ওয়াদুদ বলেন,নদী সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) নদীর সুরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। দেশের দখল হওয়া নদীর সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে এসব পদের কর্মকর্তারা জড়িত।

তিনি আরও বলেন,জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে নৌপরিহন মন্ত্রণালয়ের অধীন থেকে মুক্ত করতে হবে। আইন সংষ্কার করে কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে কমিশনের কার্যালয় থাকতে হবে।

ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগের ব্যবস্থাও তাদের থাকতে হবে। শিক্ষক খাইরুল ইসলাম পলাশ বলেন,দেশের নদীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে এ কাজগুলো হচ্ছে।

দেশের জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করা হলে আমাদের নদীগুলোকে বাঁচানো সম্ভব। সংগঠক শামসুর রহমান সুমন বলেন,নদী সুরক্ষায় সকলের দায়িত্ব রয়েছে। নদী সুরক্ষায় নতুন ব্যবস্থাপনা আনতে হবে।

নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় কাউন্সিল গড়ে তোলা প্রয়োজন। ঘাঘট নদী রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের নদী। এ নদীর দৈর্ঘ্য ২৩৬ কিলোমিটার। পানি প্রবাহমাত্রা অবস্থাভেদে ৫০ থেকে দুই হাজার ৫০০ কিউসেক। স্থানীয়ভাবে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে এ নদী থেকে মাটি কাটা হয় এবং বালু উত্তোলন করা হয়। মাটি-বালু কাটার কারণে বর্ষায় নদী ভাঙন দেখা দেয়, কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।