রাজশাহীতে বাস বন্ধ ৭৫টি সিএনজি ভাংচুর

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪

বর্তমান খবর,রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে সিএনজি চালক ও বাস শ্রমিকদের মাঝে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মহানগরীর রেলগেটে প্রায় ৮০ টির অধিক সিএনজি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখির নেতৃত্বে পিস্তলসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে সিএনজি চালকরা অভিযোগ করেছেন।

হামলায় আহত সিএনজি চালক আব্দুস সালাম জানান,প্রতিদিনের মত আমরা সিএনজি নিয়ে যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ বাস শ্রমিকের প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য হাতে পিস্তল,রোড,হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালাতে শুরু করে। এতে প্রায় ৭৫ টি সিএনজি ভাংচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছে ৪০ জনের অধিক সিএনজি চালক।

সিএনজি চালক হাসিবুল ইসলাম বলেন,হঠাৎ করেন ৫০-৬০ জন বাস শ্রমিকরা চারিদিক থেকে ঘিরে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে সিএনজি ভাঙ্গতে শুরু করে। আমারও সিএনজির উপর হামলা চালিয়ে কাচ ভাংচুর করেছে। এই সময় তাদের হাতে লাঠি, লোহার রড, হাতুড়ি ছিলো। একজনের হাতে পিস্তলও দেখা গেছে বলে জানান এই চালক। তারা এই ভাংচুর প্রায় আধাঘন্টা ধরে চালিয়েছে। এতে প্রায় ৭৫ টি সিএনজি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।সিএনজি চালকরা বলেন, তারা পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে। গতকালকের তানোরের ঘটনার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা এই ঘটনার ক্ষতিপূরণ ও হামলায় জড়িতদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত কোন রুটে বাস চলাচল না করতে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সিএনজি মালিক সমিতির সহ-সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রায় ৮০ টির অধিক সিএনজি বাস শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। চালক প্রায় ৪০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমরা এর ক্ষতি পূরণের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি এর সুষ্টু তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হিসেবে কোন রুটে বাসচলাচল করতে দেবো না।

উল্লেখ, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর তানোরে সিএনজি চালিত অটোরিকশার শ্রমিকদের হামলায় পাঁচ বাস শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনার পর সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকেরা নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় লাঠিসোটা হাতে রাস্তায় নামেন। তারা রাস্তার উপর এলোমেলো করে বাস রেখে সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাদের শান্ত করে এবং সড়ক ছেড়ে দেয়।

এই ঘটনার বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।