ব্রিজটি যেন এখন মরণ ফাঁদ!

প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪

বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি নির্মাণ করা করায় সেটি এখন লক্ষাধিক মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে পারাপার হচ্ছে মানুষ। চরাঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহন ও রোগী নিয়ে চরম বিপাকে এলাকাবাসী। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল মানুষ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূঘর্টনা।

জানা যায়,সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব আমধিরপাড়া বটতলায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষের যোগাযোগের জন্য ১৯৯৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়ানে নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি। নির্মাণ কাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় মাত্র ৫ বছরের মাথায়ই নড়বড়ে হয়ে পড়ে ব্রিজটি। চলতি বছরের বন্যার পানির স্রোতে ব্রিজটি একেবারে ভেঙে পড়ে এবং দুই পাশের মাটি ধসে যায়। দেবে গিয়ে বন্ধ হয় চলাচল। এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে ভাঙা ব্রিজের ওপর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করে অস্থায়ী সাঁকো।

নড়বড়ে সাঁকোতে পায়ে হেঁটে কোনো রকমে চলাচল করা গেলেও মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান, সাইকেল, রিকশা চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। নিয়মিত ঘটছে ছোট-বড় দুঘর্টনা। রোগী ও চরাঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পারাপার করতে হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে।

এলাকার কামরুল ইসলাম বলেন, একমাত্র এই সড়কের ব্রীজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় তারা বিপদে পড়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও রোগী পরিবহনে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মো. রফিকুল ইসলম বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের ব্রিজটি দ্রæত নির্মাণ করা প্রয়োজন। জনগণের চলাচলের জন্য স্থানীয়ভাবে কাঠের সংযোগ সেতু তৈরি করা হলেও তা ভেঙে চলাচলে হুমকির মুখে পড়েছে। আমধিরপাড়া বটতলা ব্রিজটি দিয়ে সাঘাটা, হলদিয়া ও জুমারবাড়ি ইউনিয়নের বেড়া, গারামারা, দক্ষিণ দীঘলকান্দি, উত্তর দীঘলকান্দি, পাতিলাবাড়ি, জুমার বাড়ি, গোবিন্দপুরসহ অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।

গাইবান্ধা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম বলেন, বন্যায় ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় জনগণ দুভোর্গে পড়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রæত নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।