বর্তমান খবর,কাশিয়ানী(গোপালগঞ্জ)প্রতিনিধি: জনবল সংকটে ভূগছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। ফলে ব্যাহত হচ্ছে দাপ্তরিক কার্যক্রম, দেখা দিয়েছে নানা বিড়ম্বনা। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তাদের বেতন-ভাতা দেয়াসহ দৈনন্দিন দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
কাশিয়ানী প্রাথমিক উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক পদটি শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের তিনটি পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র একজন। এছাড়া অফিসের একমাত্র পিয়ন এক মাস আগে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় বদলি হয়ে চলে যাওয়ায় তার পদটি শূন্য হওয়ায় দাপ্তরিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এসব পদ দ্রুত পূরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষক নাসিবুর মোল্যা বলেন, ‘শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল না থাকায় আমাদের মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। সামান্য কাজে অফিসে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্রুত শুন্য পদগুলো পূরণ করার দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোবাখখারুল ইসলাম মিজান জনবল সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে অফিসের কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’