গাইবান্ধায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪

বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো: আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের পূর্বপাড়া এলাকার পুরাতন টেলিফোন ভবন থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতেই শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ,পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন,গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ আল হাসান,বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াশিকার ইকবাল মাজু,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে গাইবান্ধাবাসী পান মুক্তির স্বাদ। এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বিজয়ের আনন্দে ফেটে পড়ে গাইবান্ধার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ। ৭১ এর এই দিনে কো¤পানি কমান্ডার বীর প্রতীক মাহবুব এলাহী রঞ্জুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের কালাসোনার চর থেকে বালাসী ঘাট হয়ে গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের আগমণের সংবাদ পেয়ে আগের রাতেই গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়ামে অবস্থিত পাক সেনা ক্যা¤েপর সৈনিকরা রংপুর ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশে পালিয়ে যায়। বর্তমান স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ ও তৎকালীন এসডিও মাঠে মুক্তিযোদ্ধা জনতার মিলন মেলায় পরিণত হয়। দশ সহস্রাধিক মানুষ সংবর্ধনা জানায় বিজয়ী বীর সেনাদের।

ডিসেম্বরের প্রথম থেকেই গাইবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর চ‚ড়ান্ত আক্রমণ শুরু করে। এতে ৪ ডিসেম্বর মুক্ত হয় গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানা, ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় গাইবান্ধা। এরপর ৮ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী থানা, ১০ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ ও ১২ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় গোবিন্দগঞ্জ।