বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এক প্রতারক কাজী সাইফুল ইসলামকে ভূঁয়া বইসহ আটক করেছে জনতা। জানা যায়,উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামের মোজাম্মেল হকের কন্যার সাথে একই ইউনিয়নের কেল্টাপাড়া গ্রামের শাহিন মুন্সির ছেলে আকাশ মিয়ার ৪ মাস পূর্বে ৬ লক্ষ টাকা মোহর ধার্য করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। ওই সময় ৬ লক্ষ টাকার ফি আদায় করেন প্রতারক কাজী সাইফুল ইসলাম। পরে কাবিননামার অনুলিপি সংগ্রহ করার জন্য মোজাম্মেলের কন্যা কাজীর নিকট একাধিকবার গেলেও তিনি অনুলিপি পাননি।
বিষয়টি ছাপড়হাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামীর কাছে অভিযোগ করলেও সূরাহা হয়নি। তথ্য নিয়ে জানা যায় ৬ লক্ষ টাকার দেনমোহরানা স্থলে প্রতারক কাজী ৩ লক্ষ টাকা বইয়ে লিখেছে। একই সাথে ১লক্ষ ১২ হাজার টাকা নগদ দেখিয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর কন্যা পক্ষের লোকজন ওই কাজীকে আরেকটি সাজানো বিয়ে রেজিস্ট্রি করার কথা বলে শান্তিরাম ইউনিয়নের পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের রবিউল ইসলামের বাড়িতে ডেকে এনে বর ও কনে বিহীন সাজানো বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে বললে কাজী তড়িঘড়ি করে ভূঁয়া বইয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন এবং বিয়ে পড়ান লেংগা বাজার আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা সাইফুল ইসলাম।
এ সময় দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামের লোকজন পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পূর্বের রেজিস্ট্রির অনুলিপি দাবি করে ভুয়া বইসহ প্রতারক কাজী সাইফুল ইসলাম ও তার মিতা মাওলানা সাইফুল ইসলামকে রাত ১০টার দিকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে মুসলিকা দিলে ওই মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা সাইফুল ইসলামকে ছেড়ে দেন এলাকাবাসী।
প্রতারক কাজী সাইফুল ইসলামের নিকট রেজিস্ট্রি বইটি বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,এই বইটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের কাজী আব্দুল মালেক মিয়ার। কাজি আব্দুল মালেকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শান্তিরাম ইউনিয়নের কাজী আব্দুল মজিদ ও শ্রীপুর ইউনিয়নের কাজী আব্দুল মান্নান বলেন,বই ও কাজি ভূঁয়া। লেংগা বাজার আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সুপার খলিলুর রহমান বলেন,মাদ্রাসার সময়ের পরে যদি কোন শিক্ষক কোন ধরণের অঘটনা ঘটায় এর দায় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিবেন না। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই।