বাড়ির আঙ্গিনায় বস্তায় আদা চাষ শুরু করে বাণিজ্যিকভাবে স্বাবলম্বী মুর্শিদা বেগম

প্রকাশিত: ৩:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

বর্তমান খবর,লালপুর(নাটোর)প্রতিনিধি ।। নাটোরের লালপুরে বস্তায় আদা চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন মুর্শিদা বেগম নামে এক নারী উদ্যোক্তা । বস্তায় আদা চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে এখন তিনি বাড়তি আয় করছেন বলে জানিয়েছেন। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং তার এ সফলতা দেখে আশপাশের কৃষকরা বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে উপজেলায় বর্তমানে ৮৭ জন কৃষক বস্তায় আদা চাষ করছেন বলে জানা যায়।

আজ সকালে উপজেলার সন্তোষপুর এলাকায় গেলে দেখা যায়,মুর্শিদা তার বাড়ির আঙ্গিনায় পরিত্যক্ত জায়গায় সারি বস্তায় আদা চাষ করেছেন। সারির মাঝে মাঝে লাগিয়েছেন কয়েকটি ড্রাগন ফলের গাছ। জৈব সারের চাহিদার জন্য পাশেই করেছেন কেঁচো কম্পোস্ট সারের স্তূপ।

মুর্শিদা বলেন-‘বাড়ির আঙ্গিনায় পরিত্যক্ত জায়গায় কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রাথমিকভাবে ৪২৫টি বস্তায় আদা চাষ শুরু করি। নিজ বাড়িতে জৈব সার করায় আদা চাষে তেমন একটা খরচ হয়নি। শুধুমাত্র অনলাইন থেকে ৭ হাজার টাকার আদার বীজ কিনেছিলাম। এ বছর উৎপাদিত আদায় পরিবারের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি ১ লাখ টাকা আয় করতে পারবো বলে আশা করছি।’

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,এবছর উপজেলায় মইশাল,বারী-২, বারী-৩ ও থাই নামের চারটি জাতের ১২ হাজার ৭০০টি বস্তায় ৮৭ জন কৃষক ফলের বাগান ও বাড়ির আঙ্গিনায় পরিত্যক্ত জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায়, ফলের বাগানে বা পরিত্যক্ত জায়গায় ১০ থেকে ১৫টি বস্তায় আদা চাষ করলে পরিবারে আদার চাহিদা পূরণ হবে এবং প্রতি বছর আদা আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব। এ কারণে আমরা কৃষকদেরকে বস্তায় আদা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও আগ্রহী করতে কাজ করছি।

এ বছর আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষকদের মাঝে বস্তায় আদা চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী বছর আদা চাষ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।