দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে দেবো না, দেশের ১৮ কোটি মানুষ রুখে দেবে – অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু

প্রকাশিত: ৯:৫৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

বর্তমান খবর,লালপুর(নাটোর)প্রতিনিধি : দেশের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে দেবো না, দেশের ১৮ কোটি মানুষ রুখে দেবে । বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন,আজ শহরের কানাইখালী এলাকায় ছাত্রদল নেতা শহীদ সুজন স্বরণে বিশাল স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরণে বিশাল স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

১৯৭১ সালে আমরা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অন্যের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছে। আমরা তাদের বলতে চাই, দেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো চক্রান্ত চলবে না। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে আমরা দেবো না। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ রুখে দেবে। সেজন্য দেশে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে মানুষের গণতন্ত্র ও অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

রাজা-রানীর এ নাটোরে শত শত বছর মুসলিম হিন্দু, বৌদ্ধ, খিষ্ট্রান ভাই-বোনে বসবাস করছে। যখন কোনো দুর্যোগ এসেছে, সংকট এসেছে, আমরা মুসলমানরা হিন্দু ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

বিএনপির নেতা দুলু বলেন,নতুন প্রজন্ম নাটোরে দুলুর শাসন দেখে নাই। এ নাটোরকে শান্তির শহরে পরিনিত করেছিলাম। আগামী দিনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় এলে শান্তির নাটোর বানাবো। বিএনপি ক্ষমায় আসলে এক মাসের মধ্য নাটোরে গ্যাসের ব্যবস্থা করে দেবো। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ধ্বংস করে একটি শান্তিময় নাটোর গঠন করবো। এই শান্তির শহরে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা ও হামলা করে রক্তের শহর বানিয়েছে আওয়ামীলীগ। এসব সন্ত্রাসীদের বিচার এ নাটোরের মাটিতে করবো।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন,আওয়ামীলীগ নাটোরকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের শহরে পরিনিত করেছিল। সাধারণ অটোরিক্সা ও সিএনজি চালকরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকতো।এখনো নাটোরের সাধারণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ভাইদের কোনো চাঁদা দিতে হয় না। যদি বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে নাটোরে কেউ চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি এ অপরাধের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত থাকে সবার আগে তার বিচার হবে।

এ নাটোরে আর কোনো চাঁদাবাজদের স্থান নেই। স্মরণ সভায় নাটোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন- নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, নাটোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারী, জেলা স্বেচ্ছাসবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।