বর্তমান খবর,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ছয় ঘণ্টা সংঘর্ষের পরে সেনাবাহিনী ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখলে নিতে চেষ্টা করে পার্শ্ববর্তী মোচনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইকদিয়া গ্রামের শওকত শিকদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মহারাজপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর, নারায়ণপুর, লোহাচূড়া ও লোহাইড় গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন বাধা দেয়।
এ সময় উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। মুহূর্তের মধ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুর রহমান, মুকসুদপুর থানার ওসি মো. মোস্তফা কামাল পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। কিন্তু পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী ও র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, শওকত শিকদার নামে এক ব্যক্তি অনেক আগে থেকে ইউপি ভবনের পাশে ঘর বানিয়ে ব্যবহার করে আসছিলেন। সম্প্রতি গাছ পড়ে ঘরটি ভেঙে যায়। এখন ওই ঘরের সংস্কার কাজ শুরু করতে গেলে একপক্ষ বাধা দেয়। পরে সেই ঘরটি এবং জায়গা মোচনা ইউনিয়নের কয়েকজন লোক দখল নিতে গেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ, রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মাদারীপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারাত্মক আহত অবস্থায় মনির শিকদার (৩২), রইস শিকদার (৩৫), দেলোয়ার হোসেন (৫৫) ও রফিকুল ইসলাম (৩৬) নামে চার জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।