বর্তমান খবর,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি ।। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক অধিদপ্তর মন্ত্রণালয়ের সাব-রেজিস্ট্রার পদ শূন্য থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা।
একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নসহ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে গঠিত এ উপজেলা।
রেজিস্ট্রার অফিস থেকে উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার পদায়নের জন্য মহাপরিদর্শক(নিবন্ধন) বরাবর একাধিকবার আবেদন দেওয়া হয়েছে। জনবহুল বীরগঞ্জ উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে একজন সাব-রেজিস্ট্রার দিয়ে করানো হচ্ছে সপ্তাহে দুই দিন উপজেলার জমি বেচাকেনা ও দলিল নিবন্ধন এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বন্ধকী দলিল রেজিস্ট্রেশনের কাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও নকল গ্রহনকারীরা।
জানা গেছে,বিগত সাব-রেজিস্ট্রার রিপন চন্দ্র মণ্ডল গত ১৩.১১.২০২৩ সালের যোগদান করার পর থেকে তার বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির ব্যপক অভিযোগ উঠে। এর ভিত্তিতে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চার ঘণ্টা ব্যপী তদন্ত করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১.৭.২০২৪ইং তারিখে রিপন চন্দ্র মন্ডল রংপুর গঙ্গাচড়ায় উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে বদলি হন। এর পর থেকে এই পদটি শূন্য হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৫ দিন পর অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়ে মো: মনসুর আলী বীরগঞ্জ উপজেলার দায়িত্ব পান।
সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে পার্বতীপুর তিনদিন কাজ করেন এবং বীরগঞ্জ উপজেলায় (বুধবার -বৃহস্পতিবার) সপ্তাহে ২ দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আর সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার বীরগঞ্জে সপ্তাহে দুদিন দলিল নিবন্ধনের কাজ করেন। দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় ধরে ওই বীরগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার পদ শূন্য রয়েছে। ফলে যথাসময়ে জমি বেচাকেনার কাজ করতে গিয়ে দলিল নিবন্ধ করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
একজন গ্রহীতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জনবহুল এই উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে কোনো কর্মকর্তা নেই। দীর্ঘ প্রায় চার মাস থেকে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকার কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বীরগঞ্জ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন মনসুর আলী।
সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের একাধিক দলিল লেখক জানান,গত ৫ আগষ্টে পট পরিবর্তনের বর্তমানে সেই সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে। আবার যে নতুন কোনো সিন্ডিকেট তৈরি না হয়, দ্রুত সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিলে ভালো হয়। আর যেন সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে না পড়ে।
বীরগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক আবুল কালাম জানান,সপ্তাহে দু’দিন সাব-রেজিস্ট্রার বসেন। তিনদিন তাদের কোনো কাজ থাকে না। আর দু’দিন কাজের চাপ বেশি পড়ায় অনেক সময় সন্ধ্যা ও রাত পরিবেশ ভালো হয়ে যায়।
দলিল লেখক আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলার সাব- রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের বিষয়টি প্রতি মাসেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে জানা গেছে। বীরগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে একজনকে সপ্তাহে দুই দিন পোস্টিং দেওয়া হয়। তবে তিনি যোগদান করেননি। আশা করছি দ্রুত নিয়োগ হতে পারে শূন্য পদে সাব রেজিস্ট্রার।