বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো: রংপুরের পীরগাছায় আন্তঃনগর ট্রেন থামানোর দাবিতে ৫ দিন থেকে আন্দোলন করছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। মাঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যভাবে কথা বললেও আন্দোলনের মাঠে সবাই এক। পীরগাছার উন্নয়নে সবাই একসাথে আন্দোলন করছেন।
জানা যায়,চলতি মাসের ১০ তারিখে পীরগাছা সরকারী কলেজ হলরুমে পীরগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিটির আহŸানে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় উদ্বোধনের দিনেই বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামানো হবে। গত ১১ মার্চ সোমবার দুপুরে বুড়িমারী ট্রেন থামানোর জন্য মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ হাজারও মানুষ উপস্থিত হন। গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রতিদিন ঢাকায় যাওয়ার সময় এবং আসার সময়ে তিন মিনিটি করে ট্রেনটি থামিয়ে রাখা হচ্ছে।
পীরগাছা রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতির দাবিতে উদ্বোধনের দিন থেকে প্রতিদিন আসা-যাওয়ার পথে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনকে আটকে রাখছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। গত ১৫ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ও রাত ১০টায় চতুর্থ দিনের মতো ট্রেনটিকে ওই স্টেশনে তিন মিনিট আটকে রাখা হয়। এসময় ট্রেন থামাতে পীরগাছা স্টেশন এলাকায় হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নেয়। এর আগে উদ্বোধনের দিন গত ১২ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই স্টেশনে ট্রেনটিকে ৩৫ মিনিট আটকে রাখা হয়। পরে রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশ্বাসে ছেড়ে দেয়া হলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন আসা-যাওয়ার পথে ন্যূনতম ৩ মিনিট ট্রেনটিকে ওই স্টেশনে থামিয়ে রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।
ঘোষণা মোতাবেক প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ট্রেনটিকে আটকে রাখছেন তারা। বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী সরকার বলেন, আমাদের দাবি একটাই ট্রেনটি থামাতে হবে। প্রয়োজনে আমি ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে জীবনকে উৎসর্গ দিব। পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন বলেন, ট্রেনটি থামানো খুবই জরুরি। পীরগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু নাসের শাহ মাহবুরার রহমান বলেন,দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। পীরগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা বলেন, প্রতিদিন বুড়িমারী এক্সপ্রেসকে আটকে রাখছেন স্থানীয়রা।