বর্তমান খবর,নিজস্ব প্রতিবেদক: কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখার উপ-পরিচালক নাজমুন নাহারের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকগণ।
অভিযুক্ত নাজমুন নাহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কারিগরি সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরি নওফেল। কিন্তু এ ব্যপারে কোন পদক্ষেপ নেয় নি সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন কারিগরি শিক্ষকরা।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকগণ। এ অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত হয়েছে তার অপকর্মের চিত্র। এতে বলা হয় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের নাজমুন নাহার উপ-পরিচালক এমপিও শাখা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর আগারগাঁও ঢাকা। সে আত্ম অংকারী ও বদমেজাজী এবং দূর্নীতি বাজ মহিলা। আমাদের শিক্ষক সমাজকে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সহ শিক্ষকদের সাথে বাড়ীর চাকরের চাইতে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন এবং তাঁর কাছে গেলে আপমান করে জঘন্য ভাষায় কথা বলেন।
এছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে এক পক্ষে থেকে টাকা খেয়ে তার হয়ে কাজ করেন। এমনকি অবৈধ কাজ বৈধ করে দেওয়ার অপচেষ্টায় লীপ্ত থাকেন। আবার ভাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে নেটে চিঠি করে দিয়ে থাকেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা সচিবের নির্দেশ মানতে বাধ্য নয়। এমনকি তার ফোন রিসিভ করতেও বাধ্য নই। প্রয়োজন হলে আমি কথা বলল, আমার আইনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর চলে। আমি যত দিন আছি ততদিন আমার কথায় অধিদপ্তর চলবে।
গত ২১জানুয়ারি বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা কারিগরি শিক্ষা সচিবের সাথে সাক্ষাৎ করে অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত করলে সচিব তাদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনো উপ-উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার স্ব-পদে বহাল থাকায় অধ্যক্ষদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।
পীরগঞ্জ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রউফ বলেন, আমরা সচিব স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি কিন্তু তিনি কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয় নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখত ভাবে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। নাজমুন নাহারকে অপসারণ না করলে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে কঠোর আন্দোলন করা হবে।