রাজশাহীর মোহনপুর যমুনা জুটমিলে অবহেলায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ শে ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪

বর্তমান খবর,রাজশাহী প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হল একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ সমস্ত বাংলাভাষী অঞ্চলে পালিত একটি বিশেষ দিবস, যা ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বরে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালন করা হলেও পালন করা হয়নি রাজশাহী মোহনপুর যমুনা জুটমিলে শ্রদ্ধা জানাতে টানানো হয়নি ব্যানার কিংবা রাষ্টীয় পতাকাকে সম্মাননা জানানো হয়নি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ এই দিবসটি কে,সরকারি ছুটির দিনে যমুনা জুট মিলে শ্রমিকদের বাধ্য করে কাজ করানো হয়েছে,ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রাষ্ট্র কে অসম্মানিত করেছেন,জি এম রবিউল ইসলাম। তিনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য মানেন না বলেই সরকারি নিয়ম পালন করেননি।

একারণে জুট মিলের কোথায় ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কোন ব্যানার ফেস্টুন সাটাননি কিংবা জাতীয় পতাকাও টানাননি। এবিষয়টি জানতে গণমাধ্যমকর্মীরা সরাসরি জমুনা জুট মিলের সামনে গেলে দেখতে পান শ্রমিকরা ডিউটি শেষে বেরিয়ে যাচ্ছেন।

গণমাধ্যমকর্মীরা শ্রমিকদের সাথে কথা বললে জিএমের কথা বলেন,তার সাথে দেখা করতে গেলে তিনি দেখা না করে পালিয়ে যান। পরে ম্যানেজারকে ফোন দিলে তিনি পরিচয় পেয়ে ফোন বন্ধ করে দেন।গণমাধ্যমকর্মীরা জুট মিলের কর্মরত কয়েক জনের সাথে কথা বলেন।

এ জুট মিলে কর্মরত জি এম এর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। ঠিকমত শ্রমিকদের বেতন না দেওয়া, ইচ্ছামত শ্রমিক ছাটাই,শ্রমিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন জি এম রবিউল ইসলামের নিত্য দিনের কান্ড বলে অভিযোগ করেন এখানে কর্মরতরা। এই দিনে প্রায় ১৫৭ জন শ্রমিককে দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)আয়শা সিদ্দিকাকে জানানোর পরে তিনি বলেন বিষয়টি দেখছি।

জিএমের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে,পরে যমুনা জুট মিলের শ্রমিকদের সেই দিন কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং সবাইকে ছুটি দেয়। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন দিবসে জাতীয় পতাকা যথাযথভাবে উত্তোলনের নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে,২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিধান রয়েছে। এদিন ভাষা শহীদদের স্মরণে সারাদেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

পতাকা অর্ধনমিত রাখার সময় মনে রাখতে হবে অর্ধনমিত অবস্থায় উত্তোলনের প্রাক্কালে পতাকাটি পুরোপুরি উত্তোলন করে অর্ধনমিত অবস্থানে আনতে হবে এবং নামানোর প্রাক্কালে পতাকাটি শীর্ষে উত্তোলন করে নামাতে হবে। ১৯৭২ সালে প্রণীত (২০১০ সালে সংশোধিত) ‘জাতীয় পতাকা বিধিমালা’য় জাতীয় পতাকা যথাযথভাবে ব্যবহারের বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। এ নির্দেশনা মেনে চলা প্রতিটি নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য।