বর্তমান খবর,জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুর যমুনার বামতীরে মোরাদাবাদ ঘাটে অবৈধ বালুর ব্যবসাসহ উপজেলার শতাধিকস্পটে অবৈধ মাটি ও বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।
জানা গেছে, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কিন্তুু এসব আইনের যথাযথ কোনো প্রয়োগ নেই ইসলামপুর উপজেলায়। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর চাপে প্রশাসন মাঝে মধ্যে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধ দায়সারাভাবে জরিমানা করে ব্যবস্হা নিলেও আবারও রহস্য জনক কারণে কয়েকদিন পরই অবৈধভাবে বালু ও মাটি তুলা শুরু হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগে খুঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসলামপুর যমুনার বামতীরে মোরাদাবাদ ঘাটে একটি বালুদস্যু সিন্ডিকেট প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বামতীর বাধঁ কেটে ড্রেজারের পাইপ ঢুকিয়ে যমুনা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বাধেঁর পাশে বালুর পিরামিড করে জমা করে বিক্রি করছে। জমা করা বালু বাতাসে উড়ে গিয়ে বাঁধের এলাবাসীর পরিবেশ নষ্ট হওয়াসহ ইটের সলিংও পাকা রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। মাঝে মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এইসব অবৈধ বালু মহলে অভিযান করে জরিমানা করলেও পরবর্তীতে রহস্য জনক কারণে আবারও বালু উত্তোলন করে বালু দস্যুরা। একই ভাবে উলিয়া পাইলিং ঘাটের পাশে জেগে উঠা যমুনার চর থেকেও চলছে বালু উত্তোলন।
অন্যদিকে উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের বালুঘাট ব্রীজের নিচে নবুকুড়া ,খলিশাকুড়ি খালে সরকারি খাস জমি গভীর খনন করে মাটি বিক্রি চলছে। এছাড়া চরগোয়ালীনি ইউনিয়নের হরিণধরা বাজারের সামনে দশআনী নদে বসেছে ড্রেজারে মেলা। অবৈধ ড্রেজারে নদের তীর খনন করে চলছে বালু মাটি বিক্রি।
এছাড়াও পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ পাকামাথা ও ফকিরপাড়া পাইলিং ব্রীজের নিচ থেকে চলছে দীর্ঘ দিন ধরে বালুমাটি উত্তোলন। এভাবেই উপজেলার প্রায় শতাধিক স্পটে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ মাটি ও বালি উত্তোলনের মহোৎসব চললেও নিরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।
এব্যপারে ইসলামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.শাহনূর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানান, খু্জঁ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিবেন।