বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো: ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। শীতের জরাজীর্ণতাকে ঝেড়ে অপরূপ রূপে প্রকৃতিকে সাজাতে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। তারই সংকেত দিতে ফুটেছে আগুনরাঙা লাল শিমুল ফুল। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সেজেছে রঙিন সাজে। গাছে গাছে রঙিন ফুল। সবকিছুর মধ্যেও প্রকৃতিকে অন্যরকমভাবে সাজিয়েছে শিমুল ফুল।
বসন্তের শুরুতেই শিমুল ফুলের স্বর্গীয় সৌন্দর্যে নান্দনিক হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। বসন্ত এলেই যেন ভালোবাসার কথা জানান দিতে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে দিয়ে হেসে ওঠে শিমুল ফুল। ঋতু চক্রের আবর্তনে শিমুল ফুল তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবারো হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে। শিমুল ফুলের লাল আবির বসন্তকে দিয়েছে এক অনন্য মাত্রা।
প্রকৃতির অপরূপ রঙের সাজ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায় যে কারো। প্রকৃতির এমন অপরূপ সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেয় শাহ আব্দুল করিমের সেই গানের লাইনটি বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে.. সই গো, বসন্ত বাতাসে। শহর অঞ্চলে শিমুল গাছ হারিয়ে গেলেও রংপুরের গ্রামাঞ্চলে খুব কম সংখ্যায় হলেও শিমুল গাছ সেজেছে বাহারি রঙের ফুলে।
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশে বসন্ত আসে প্রকৃতিকে রঙিন করতে। আর শিমুল ফুল ছাড়া বসন্ত যেন একেবারেই বেমানান। বসন্ত নিয়ে যতো কাব্য রচিত হয়েছে তার অধিকাংশতেই শিমুল ফুলের কথা ওঠে এসেছে। শিমুল ফুল না ফুটলে যেন বসন্ত আসে না। বাংলাদেশের ভৌগলিক পরিবেশের সঙ্গে সংস্কৃতি চর্চার একটি যোগ সূত্র রয়েছে।
গান কবিতা নাটকে বাংলার প্রকৃতি উঠে আসে। ঠিক সেভাবে বসন্ত এলেই চলে আসে শিমুলের কথা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও উন্নয়নের ধারায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও শিমুল গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রাম বাংলার পথে প্রান্তরে এখন আর শিমুল ফুল তেমন চোখে পড়ে না। কয়েক বছর আগেও গ্রামের মেঠোপথে ও বাড়ির আঙিনায় দেখা যেতো শিমুল গাছ। শিমুল ফুল শুধু সৌন্দর্য বর্ধনই করে না। শিমুল গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা। রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। পেটের পীড়াসহ নানা রোগ নিরাময়ে শিমুল গাছের ছাল ব্যবহার হয়।