বর্তমান খবর,মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনীতে ভূল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় সুজন হোসেন নামের এক ভূয়া ডাক্তারের দুই বছরের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ শুক্রবার সকালে দন্ডিতকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যারাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম এ দন্ড প্রদান করেন। দন্ডিত সুজন আলী গাংনীর মহাম্মদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, বাওট গ্রামের মনিরুল ইসলামের দুই দিন বয়সী নবজাতক শিশুর চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় মহাম্মদপুর গ্রামের হালিমা ফার্মেসীতে। সেখানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শরিফুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বার রয়েছে। শরিফুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে সেখানে সুজন আলী নামের এক ব্যক্তি নিজেকের ডাক্তার দাবি করে নবজাতকের চিকিৎসা দেন। কয়েকটি এন্টিবায়োটিক ওষুধসহ বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরে ওই ওষুধ সেবন করানোর পর নবজাতক আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিকেলে নবজাতকের মৃত্যু হলে ওই ফার্মেসীতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে সুজন ভূয়া ডাক্তার হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ এর ১ ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর কারাদÐ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আব্দুল আল মারুফ ও গাংনী থানা পুলিশের সহায়তায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।