বর্তমান খবর,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ কলমি শাকের বীজ মাড়ায় করার শ্রমিক খরচ নিয়ে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্ততঃ ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঢেপা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলো, মালিক পক্ষের জেলেহার মন্ডলের ছেলে মজিবর (৫০), দেলোয়ার মন্ডলের ছেলে জিবার মন্ডল (৫৫), নুর ইসলামের ছেলে আশাদুল (৪৮), আশাদুলের ছেলে নয়ন (২০), জেলেহার মন্ডলের ছেলে নুর ইসলাম (৬৪), মজিবরের ছেলে আলামিন (২৬) ও বায়জিদ আলীর ছেলে ফরজ আলী (৩৫)।
আর শ্রমিক পক্ষের আহতরা হলো, রেজাউল ইসলামের ছেলে হযরত আলী (৬০), উসমানের ছেলে স্বপন (২৩), রেজাউলের ছেলে উসমান (৫০) ও হুমায়ন (৪০), মৃত খুকাই শেখের ছেলে রেজাউল (৮৮), রেজাউল হকের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৮৪)। সকলেই ঢেপা গ্রামের পাঙাসী পাড়ার বাসিন্দা।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মজিবরের ১৩ কাঠা জমির কলমি শাকের বীজ মাড়ানোর জন্য চুক্তি নেয় রেজাউল হক। প্রতি বিঘা জমির জন্য আড়াই হাজার টাকার চুক্তি হয়। শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে মজিবর অভিযোগ করেন মাড়াই খরচ বেশি নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
বুধবার সকালে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে লাঠিশোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। এতে দু’পক্ষের ১৩ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।