বর্তমান খবর,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কদমহাটা গ্রামের এক তরুণী নিখোঁজের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসার পর মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে।
উদ্ধারের পর জানা যায়, নিখোঁজ নয় তালতো ভাইয়ের সঙ্গে স্বেচ্ছায় পালিয়ে গিয়েছিলেন শাহানা আক্তার নামের ওই তরুণী। প্রেমিকসহ তাঁকে উদ্ধারে করেছে রাজনগর থানা পুলিশ। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর নিখোঁজ হন শাহানা আক্তার। তিনি রাজনগরের মৌলানা মুফাজ্জল হোসেন মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। মনসুরনগর ইউনিয়নের কদমহাটা গ্রামের লকন মিয়ার মেয়ে।
শাহানার পরিবারের করা জিডির প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে তাদেরকে নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ থানার ভুলতা এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নারায়নগঞ্জে কোর্টম্যারেজ করলেও মেয়ে ও ছেলের পক্ষ সমোঝতায় মঙ্গলবার দুপুরে থানায় বিয়ে করিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) শাহানা বাড়ি থেকে কলেজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিখোঁজের খবর ছড়িয়ে পড়ে। শাহানা আক্তারের পরিবারের পক্ষ থেকে রাজনগর থানায় নিখোঁজ হওয়ায় জিডি করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন শাহানা আক্তার সে তার চাচাতো বোনের দেবর মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউয়িনের বুদ্ধিমন্তপুর গ্রামের আলাই মিয়ার ছেলে সাইফুলের সাথে পালিয়ে গেছে।
এদিকে রাজনগর থানায় নিখোঁজ জিডি হওয়ায় পুলিশ মৌলভীবাজার ও নবীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে সোমবার দিবাগত রাতে রাজনগর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একদলজপুলিশ নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় একই থানার ভুলতা এলাকার সাওঘাট থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে উভয় পক্ষের সমোঝতায় থানায় তাদের বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়।
শাহানা আক্তার জানান, সাইফুলের সাথে গত ৪ মাস থেকে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে না নেওয়ায় তিনি স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছেন।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, রাজনগর থানার জিডির প্রেক্ষিতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে ওই মেয়েকে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে তার তালতো ভাই সাইফুলসহ আমরা উদ্ধার করে নিয়ে আসি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে স্বেচ্চায় পালিয়ে গেছে। তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক নিখোঁজের ঘটনা ভাইরালের বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন বলেন, নিখোঁজ নয়। তারা স্বেচ্ছায় ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ঘর ছাড়া আর নিখোঁজ এক কথা নয়। পুলিশ নারায়ণগঞ্জ থেকে শাহানা নামের মেয়েটিকে প্রেমিকসহ উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে।