স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান খুলনার দিঘলিয়ার হায়দার আলী মোড়লকে নাস্তানাবুদ করতে গভীর ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত: ৮:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
খুলনার দিঘলিয়ার স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়ল

বর্তমান খবর, নিজস্ব প্রতিনিধি :: নির্বাচনের দিনক্ষণ নেই তবুও প্রস্তুত সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ২৪ বছরের নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে নাস্তানাবুদ করতে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র এখন তুঙ্গে। গোটা ইউনিয়নে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। বর্তমান সময়ে আলোচিত এই ইউনিয়নের নাম খুলনার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,খুলনা জেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদটি ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল থেকে মোড়ল বংশের নেতৃত্ব বিরাজমান ছিল। ব্রিটিশ আমলে গ্রাম পঞ্চায়েত ছিলেন এই বংশের ফজলে করিম মোড়ল,পাকিস্তান আমলে এম এ বারী মোড়ল ছিলেন প্রেসিডেন্ট। দেশ স্বাধীনের পূর্বে কয়েক যুগ স্থানীয় মোড়ল বংশ দিঘলিয়া ইউনিয়ন কাউন্সিলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

তৎকালীন সময়ে ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টশিপ্ট নেওয়ার জন্য দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে নকশালপন্থীরা ইউনিয়ন কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট এম এ বারী মোড়ল ও তার পুত্র গোলাম মোহাম্মদ (কুটে) মোড়লকে হত্যা করে। এরপর থেকে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নেতৃত্ব হাতছাড়া হয়ে যায় মোড়ল বংশের।

দীর্ঘ ২০ বছর পাড়ি দিতে হয়েছে মোড়ল বংশের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে। ২০ বছর পর ১৯৯২ সালে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়লের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের নেতৃত্ব ফিরে আসে। নানা ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতার পথ পাড়ি দিয়ে হায়দার আলী মোড়ল ২৪বছর খুলনার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নেতৃত্ব প্রদান করছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে হায়দার আলী মোড়ল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে চতুর্থ বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

অন্যদিকে আগামী ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনায় দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যান মোঃ হায়দার আলী মোড়লকে পরাস্ত করতে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন সংবাদপত্রের শিরোনাম করছেন একটি মহল। হায়দার আলী মোড়লকে পরাস্ত করতে কুচক্রী মহলটি দীর্ঘ সময় হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

এ ব্যাপারে দিঘলিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়ল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান পদটি গ্রাম্য এলাকায় অত্যন্ত সম্মানের ও সেবামূলক পদ। এখানে থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা করা যায়। যেমনটি আমার পূর্বপুরুষেরা করেছিলেন। এ কারণে ইউনিয়ন বাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। আমি তাদের পথ অনুসরণ করছি মাত্র।

রাজনীতির একটি অংশ হচ্ছে ষড়যন্ত্র। আমি অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দীর্ঘ ২৪বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা করে আজ এ অবস্থান । এটা একদিনে সম্ভব হয় নি। ২৪ বছর ধরে সু- নামের সাথে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি তেমনি সত্যতার সাথে ব্যবসা করে সফলতা পেয়েছি।

আমি ব্যাংক থেকে পৌনে দুই কোটি টাকার আর্থিক ঋণ নিয়ে ঠিকাদারি ব্যাবসা পরিচালনা করছি। ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে গাড়ি ক্রয় করেছি যার কিস্তির টাকা এখনও চলমান। ব্যবসায় লাভাংশের একটি অংশ আমি আমার ইউনিয়নের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ রাখি। যা দিয়ে আমি সরাসরি তাদের সহায়তা করি। অর্থ বিত্তের জন্য আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করিনা। এলাকার সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য এবং বংশের পূর্ব পুরুষের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিত্ব করি।

তিনি বলেন,ইউনিয়ন পরিষদে দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দ যথাযথভাবে বন্টন করি। পাশাপাশি আমি আমার ব্যাক্তিগত অর্থ দিয়ে সহায়তা করে থাকি।

তিনি বলেন,দিঘলিয়া ইউনিয়নের উন্নয়নে আমাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়েছে। যার কারনে বিগত দিনে দিঘলিয়া ইউনিয়নে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আমি রাজনীতির চেয়ে আমার এলাকার স্বার্থ আগে দেখি। যার কারনে আওয়ামীলীগ আমাকে বহিষ্কার করেছে। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছি। জীবনের বাকিটা সময় ইউনিয়ন বাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।