রাজউক,জাইকা ও আইইবি মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৫:০০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২৪

বর্তমান খবর(ডেস্ক): রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর আয়োজনে ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়ন বিষয়ে রাজউক, জাইকা এবং ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সভা হয়েছে। সোমবার আইইবি এর এক্সিকিউটিভ সভাকক্ষে এই সভা হয়। এই সময় আইইবির প্রতিনিধি রাজউক এবং জাইকার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে কাজের সহযোগিতা করবে জাইকা। এই সভায় জাইকার চলমান টেকনিক্যাল সহযোগিতা প্রকল্প ‘বেসরকারি ভবন সমূহের রেজিলিয়েন্সির জন্য ডিজাইন এবং নির্মান এর গুণগত মান বৃদ্ধিকরণ ’ শীর্ষক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি ও অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন আইইবির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী নুরুল হুদা, সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান, সিনিয়র সহসভাপতি কাজী খাইরুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মঞ্জু, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের সাধারণ সম্পাদক তুহিন আহমেদ, রাজউকের ডিসিকিউআর প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কইরে প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জনাব মোঃ মেহেদী হাসান খান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ এবং জাইকার মুখ্য কারিগরি পরামর্শক ডক্টর নারাফু অন্যান্য প্রতিনিধিরা।

জাইকার মুখ্য কারিগরি পরামর্শক প্রতিনিধি ডক্টর নারাফু এই প্রকল্পের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে জানান, এই প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেল নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়নের বিকাশের মধ্য দিয়ে ঢাকা বা স্মার্ট ঢাকার মানুষদের জীবন আরো স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও কার্যকর করে তোলা যাবে। ভবনের রেজিলিয়েন্সি অর্জনের মূল চাবিকাঠি হিসেবে তিনি সমন্বিত লক্ষ্য ও অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করেন এবং আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

ভবনের ডিজাইন এবং নির্মানের গুণগতমান বৃদ্ধি করার সাধারণ রূপরেখা মূল প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনার বিষয়বস্তু এবং প্রয়োগের উপায়গুলো নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

রাজউকের পরিচালক মোঃ মোবারক বলেন, ‘ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ডিজাইন এবং নির্মাণের গুণগতমান বৃদ্ধি করার নির্দেশিকার অগ্রগতি সকল অংশীজনদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে মত বিনিময় সভা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ফলস্বরূপ, প্রকল্পটি নগরায়ন ও মধ্যম-আয়ের দেশ হওয়ার দিকে বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমসমূহ:

স্ট্রাকচারাল ও অগ্নি নিরাপত্তা ডিজাইন পর্যালোচনা, নির্মাণ কাজ ইন্সপেকশন-সুপারভিশন ও সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক গাইড লাইন প্রস্তুতকরণ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান।
ভবনের কাঠামোগত দুর্বলতা রোধ এবং অগ্নিদূর্ঘটনা ঝুঁকি প্রশমনে ডিজাইন রিভিউ, নির্মাণ কাজ মনিটরিং ও সুপারভিশন বিষয়ে রাজউক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টিওটি তৈরি করা হবে।
প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাগণের (টিওটি) মাধ্যমে রাজউক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন অব বাংলাদেশ, ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এবং ইন্সটিটিউট
অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণের জ্ঞান ও দক্ষতা বিষয়ক প্ৰশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ওয়ার্কশপ সেমিনার আয়োজন এবং পাইলোটিং দুইটি এলাকায়।

এরফলে নগর এলাকায় ভবন সংক্রান্ত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস পাবে। রাজউক কর্তৃক বেসরকারী ভবন সমূহের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্ট্রাকচারাল ও অগ্নি নিরাপত্তা নকশা অন্তর্ভুক্ত করণ ও রাজউক এর কর্মচারী কর্তৃক উল্লিখিত নকশা যাচাই বাছাইয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত ভবন নির্মাণের গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে।