জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থা (খুলনা) প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
বর্তমান খবর,মনিরুল ইসলাম মোড়ল ।। খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়িগেট আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থা। যার পরিচালক লায়ন মইন উদ্দিন। উদ্দশ্য দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাবলম্বী করে তোলা। কিন্তু পরিচালকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি সহ অর্থ আত্মসাৎ সহ- অসংখ্য অনিয়মের তথ্য বেড়িয়ে আসে।
সরেজমিনে দেখা যায়,লায়ন মইন উদ্দিন ঢাকার অন্য আরেক একটি সংস্থার কাগজ পত্র নিয়ে ফুলবাড়িগেট দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফুলবাড়িগেট আবাসিক এলাকায় ৪ তলা বিশিষ্ট বিশাল ভবন নিজের নামে। দৌলতপুর কালিবাড়ি ৩০ শতকের উপর গড়ে তুলছে বিশাল প্রজেক্ট এছাড়া ও বিভিন্ন স্থানে সম্পদের তথ্য আসছে সাংবাদিকদের কাছে।
প্রশিক্ষণ হচ্ছে সংস্থার মূল কাজ, কিন্তু প্রশিক্ষণের জন্য মাত্র ৪ টি কম্পিউটার পাওয়া গেছে যার মধ্যে অকেজো হয়ে পড়ে আছে বেশি। সংস্থায় ২৩ জন কর্মকর্তা কর্মচারী যাদের বেতন ৮ হাজার ১২ হাজার ১৫ হাজার করে। কিন্তু ভাবলে অবাক লাগে এত বেতন দেয় কিভাবে। আয়ের উৎস কি,নানান প্রশ্ন সাংবাদিকের মাথায় ঘুরপাক খায়। শুরু করে আরো তদন্ত। এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে আরো ভয়ংকর তথ্য। নারী ঘটিত ব্যপার সহ দেশ এবং বিদেশে সংস্থার বিভিন্ন কর্মকান্ড সাজিয়ে অর্থনৈতিক সহায়তা গ্রহণ করে।
জানা যায়,বিভিন্ন মহিলাদের বিভিন্ন কাজের জন্য দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থায় চাকরিতে নিয়োগ নেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও চেহারা হতে হবে সুন্দরী। লায়ন মইন উদ্দিন নিজে চোখে ভালো না দেখতে পারলেও তার একান্ত সহযোগী চৈতি ছিল নারীর পছন্দের হাতিয়ার। প্রত্যেকটি নারীর আকার আকৃতির বিবরণ দেওয়া লাগতো চৈতির। পছন্দ হলে হতো চাকরী।
চাকরীর কয়েকদিন পর হতো নতুন খেলা। প্রথমে প্রস্তাব আসত মইন উদ্দিনের বিছানায় জেতে হবে এবং বহিরাগত মেহেমানদের মন তুষ্টু করতে হবে। অভাবের সংসারে অনেক মহিলা তার কথায় রাজি হতে বাধ্য হত। এবং কিছু কিছু মহিলারা চরিত্র নষ্টের ভয়ে চাকরী ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। যাদের অনেকের সাথে কথাপোকথোন হয় এবং সত্যতা প্রমাণিত হয়। এবং কয়েকজন নারী মইন উদ্দিনের নামে আদালতে মামলা করেছেন। মামলা চলমান।
দেশের বড় বড় ডোনারদের এবং বিদেশিদের কাছে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মইন উদ্দিন। তার পরিবারের ৩/৪ জন্য প্রতি মাসে মোটা অংকে বেতন নেওয়ার তথ্য মিলেছে।
জানা যায়, এর পূর্বে ঢাকায় একই সংস্থা পরিচালনা করত,সেখান থেকে মামলা খেয়ে পালিয়ে খুলনায় এসে একই পদ্ধতি কার্যক্রম শুরু করেছে।