গত ১৬ বছর মানুষের জীবনে স্বাধীনতা ছিল না – কেন্দ্রীয় যুবদল সাধারণ নুরুল ইসলাম নয়ন
বর্তমান খবর,জামালপুর প্রতিনিধি ।। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেছেন,স্বাধীন রাষ্ট্রের তালিকায় বাংলাদেশের নাম ছিল,কিন্তু গত ১৬বছর বাংলাদেশের মানুষের কোন স্বাধীনতা ছিল না। একটি পার্লামেন্ট ছিল, কিন্তু তার কোন কার্যকারিতা ছিল না। কারণ পার্লামেন্টে যারা সদস্য ছিল তারা কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেনি। নির্বাচন কমিশন ছিল, কিন্তু মানুষের ভোটাধিকার ছিল না।
একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করার ক্ষমতা তাদের ছিল না, নির্বাচন কমিশন ছিল আজ্ঞাবহ। আইন-আদালত ছিল কিন্তু মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত ছিল, বিচারপ্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে বিচারের রায় নির্ধারিত হতো। র্যাব-পুলিশ ছিল কিন্তু মানুষের জীবনে কোন নিরাপত্তা ছিল না বরং র্যাব-পুলিশের আতঙ্কে আপনারা কেউ ঘরে ঘুমাতে পারেন নি। গুম, খুন, হত্যা, মামলা, হামলা, গ্রেপ্তারের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিল র্যাব ও পুলিশ।
রবিবার(২৪নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ফুলবাড়িয়া পুরাতন ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মানে দিকনির্দেশনা মূলক যৌথ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা উত্তর সময়ে এদেশের যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ যখন দুর্বৃত্তায়নে বন্দি হয়ে পড়েছিল তখন ব্যাংক ডাকাতির কথা উঠলে একটি সংগঠনের দিকে আঙ্গুল উঠত, সেটি হল যুবলীগ। ব্যাংক ডাকাতি আর যুবলীগ সমার্থক শব্দে পরিণত হয়ে পড়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেভেন মার্ডারের আলোচনা হলে মানুষ ছাত্রলীগের দিকে আঙ্গুল তুলত। সব ধরণের অপরাধ আর যুবলীগ-ছাত্রলীগ সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিল।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি ইয়াছিন আলী, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার সেতু, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল মালুম, জেলা যুবদলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম খান সজিব, সদস্য সচিব সোহেল রানা খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল মোমেন আকন্দ কাউসার, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম কর্ণেল, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোশারফ সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সুনীলসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।