বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ৮:৫১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)

রংপুরের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করার সময়, আগে এবং পরে ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে একত্রিত হয়ে হামলায় নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে ১৪টি স্থির চিত্র এবং একাধিক ভিডিও ফুটেজসহ ২৯টি তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

শরিফুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন লিগ্যাল এইডের আইনজীবী ছাড়াও তার আপন বোন অ্যাডভোকেট সাবিহা আক্তার পপি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মহানগরীর আলমনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে তাকে পিবিআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্যানেল আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ মামলায় চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।

শরিফুল ইসলামের আইনজীবী সাবিহা আক্তার পপি বলেন, আসামি নির্দোষ। তাকে জামিন না দেয়ায় ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। শুনানির সময় শরিফুল ইসলাম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতকে বলেন, প্রতিদিনই ক্যা¤পাসে গেছি। সোমবার পরীক্ষা নিয়েছি। বাড়িতেই ছিলাম। আমাকে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে এনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমি পিএইচডির জন্য আবেদন করেছি। আমাকে জামিন দেয়া হোক। যখনই যেভাবে আমাকে ডাকা হবে তখনই আমি চলে আসব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। আদালতের আদেশসহ প্রত্যেকটি নির্দেশনা মেনে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এরই মধ্যে আমরা পেয়েছি, বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।