বর্তমান খবর,গাজীপুর, প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত বিএনপি নেতা শহিদুল্লাহ শহিদের স্ত্রী শাহীন সুলতানা সুইটির বিরুদ্ধে তিনটি মার্কেট থেকে জোরপূর্বক ভাড়া উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।একই সাথে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি,ও হুমকি দিয়ে আসছে তারা। এমন ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন পরিবার।
ঘটনা সূএে জানা যায়, শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইয়াকুব আলী তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় তার চার ছেলে আশরাফুল ইসলাম আসাদ, মোঃ শাহ আলম, মোঃ শহীদুল্লাহ ও মোস্তফা কামাল একত্রে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ার নির্মাণ করেন। এবং দীর্ঘদিন যাবত প্রত্যেকে সমানভাবে দোকানের ভাড়া উত্তোলন করে ভোগ দখলে রয়েছেন। কিন্তু আরো ৪ বছর পূর্বে বিএনপি নেতা শহিদুল্লাহ প্রয়াত হওয়ার পর থেকে তার স্ত্রী শাহীন সুলতানা সুইটি পারিবারিক দ্বন্দ্ব তৈরির চেষ্টা করছেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগীতায় জোরপূর্বক অন্যান্য ভাইদের অংশের ভাড়া একাই উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সরেজমিনে তিনটি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাওনা চৌরাস্তা মহাসড়ক সংলগ্ন ইয়াকুব আলী মাস্টার সুপার মার্কেট (মোবাইল মার্কেট), এলজি মার্কেট ও ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ার থেকে হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভাড়া উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন সুইটি।
নাম গোপন রাখার শর্তে ব্যবসায়ীরা বলেন,বিএনপি নেতা শহিদুল্লাহ শহিদ বেঁচে থাকতেও মার্কেটগুলো থেকে ভাড়া উত্তোলন করতেন তার ভাই মোস্তফা কামাল। তারা মোট চার ভাই ও তিন বোন। প্রয়াত হওয়ার পরও ভাড়া উত্তোলন নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল না। পরবর্তীতে ৫ আগস্টের পর থেকে শহিদুল্লাহ শহিদের স্ত্রী দলবল নিয়ে এসে প্রতি মাসেই ভাড়া উত্তোলন করছেন। আমরা চাই পারিবারিক দ্বন্দ্বের সমাধান হোক।
পারিবারিক এসব দ্বন্দ্বের প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী ভাইদের পক্ষে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ছোট ভাই মোস্তফা কামাল। এসব বিষয়ে আরেক ভাই মোঃ শাহ আলম বলেন, সুইটির এসব কর্মকাণ্ডে অন্যান্য অংশীদারগণ বাধা দিতে গেলে আমাদের সবাইকে মারধর করার জন্য দলবল নিয়ে এগিয়ে আসে। এতে আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের নিরাপত্তা চাই, সুইটির এসব কর্মকাণ্ডের বিচার চাই।
অপরদিকে অভিযুক্ত শাহীন সুলতানার সুইটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অধিকতর যাচাইয়ের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।