জেএমএম বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ মোদির

প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪

ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিধানসভা সামনে রেখে জনসভায় ভাষণ দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ রোববার ঝাড়খন্ডের জামশেদপুরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এই অবৈধ অনুপ্রবেশ বর্তমানে ঝাড়খন্ডের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা।

আজ ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার ঝাড়খন্ডের জামশেদপুর শহরে এক সমাবেশে নরেন্দ্র মোদি এ কথা বলেন। ছয় জেলা নিয়ে গঠিত ঝাড়খন্ডের সাঁওতাল ডিভিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসীদের সংখ্যা দ্রুত কমছে। অঞ্চলটি দখল হয়ে গেছে। অনুপ্রবেশকারীরা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পদ দখলে নিয়েছে। মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের কারণে ঝাড়খন্ডের প্রত্যেকে অনিরাপত্তায় ভুগছেন।’

নরেন্দ্র মোদি এ সময় অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়েছে জেএমএম। অনুপ্রবেশকারী ও চরমপন্থীরা জেএমএম দখল করে নিচ্ছে। এটা ঘটছে; কারণ, জেএমএমের ওপর কংগ্রেসভূত ভর করেছে। কংগ্রেসের ভূত যখন কোনো দলের ওপর ভর করে, তখন সেই দলের অ্যাজেন্ডাই হয় তোষণ। এসব দল নিজেদের পক্ষে ভোট টানার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে।’

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘দু-তিন দিন আগে ঝাড়খন্ড হাইকোর্ট অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে তদন্তে একটি স্বাধীন প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু জেএমএম সরকার এটা স্বীকার করতে চায় না যে ঝাড়খন্ডে অনুপ্রবেশ চলছে। সাঁওতাল পরগনা ও কোলহানের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ। এই পুরো অঞ্চলের জনমিতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে।’

জেএমএম, কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ঝাড়খন্ডের শত্রু বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার ভেঙে ঝাড়খন্ড রাজ্য গঠনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঝাড়খন্ড গঠন করার প্রতিশোধ এখনো নিতে চায় আরজেডি। এদিকে কংগ্রেস ঝাড়খন্ডকে ঘৃণা করে। কংগ্রেস দিল্লিতে বসে কয়েক দশক দেশ শাসন করলেও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, আদিবাসী ও দলিতদের উন্নতি হতে দেয়নি। আদিবাসীদের ভোটের রাজনীতি করে জেএমএম উঠে এসেছে। কিন্তু আদিবাসীদের জঙ্গল যারা দখল করছে, এখন তাদের পক্ষ নিয়েছে জেএমএম।’