বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মাঝে জেলা জামায়াতের আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান

মৌলভীবাজারে আন্দোলনে আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জামায়াত

প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪

বর্তমান খবর,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি || বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মাঝে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখার আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করেছেন।

জামায়াতের জেলা আমীর প্রকৌশলী এম শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামীর আলী’র সঞ্চালনায় মৌলভীবাজার পৌরসভা হলরুমে গতকাল শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ ইং, বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ও পরে আন্দোলনে আহত ৭২ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেককে নগদ পাঁচ হাজার টাকার ক্ষুদ্র উপহার তাদের হাতে অর্থ তুলে দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

এসময় বক্তব্য দেন, উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা শেখ আব্দুল হক, সহযোগী অধ্যাপক আজিজ আহমদ কিবরিয়া, জেলা ইউনিট সেক্রেটারি আব্দুল কুদ্দুস নোমান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ তারেকুল হামিদ, পৌর আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম,পৌর সেক্রেটারী মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী,ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি তারেক আজিজ ও জেলা সভাপতি শাহ আলম প্রমুখ।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ও পুলিশের নির্মম বুলেটের আঘাতের চিত্র তুলে ধরেন আহত শিক্ষার্থীরা। এ সময় এক কষ্টকর পরিবেশ তৈরি হয়। অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

প্রধান অতিথি এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল পৃথিবীর শতবর্ষের ইতিহাসে একটি অসাধারণ আন্দোলন। বিগত সরকার ক্ষমতায় এসেই পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ৫৭ জন চৌকস অফিসার হত্যা করে। এর পরপরই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে অত্যাচার-নির্যাতনের টার্গেটে পরিণত করে।

কথিত একটি ট্রাইব্যুনালে ভুয়া বিচারক,ভুয়া মামলা,ভুয়া সাক্ষী দিয়ে একের পর এক আমাদের শীর্ষ ১১জন নেতাকে হত্যা করা হয়। এভাবে বাংলাদেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে,দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে। প্রধান মেহমান এই ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাতের পেছনে যাদের অবদান তাদের সম্মান এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন,আমাদের প্রিয় ছোট ভাই আবু সাঈদের বীরত্বপূর্ণ শাহাদাত পুরো জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। একটা নিরস্ত্র নিরপরাধ যুবক বন্দুকের সামনে তার সিনা পেতে দিয়েছে। তার এই শাহাদাত আন্দোলনকে উচ্চতর ডাইমেনশন নিয়ে গিয়েছে। মুগ্ধ নামের যেই ছেলেটি সে কর্মসূচি পালন করত মানুষকে পানি খাওয়ানোর মাধ্যমে,তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে সব শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।