বর্তমান খবর,রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলা ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এলএসডি বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে চাউল কম দেওয়া ও শ্রমিককে নির্যাতন ও মারপিট এর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কাজি ভাতুড়িয়া গ্রামের ইসরাইল হোসেন ছেলে রায়হান হোসেন মোহনপুর থানা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,সাব কন্টারষ্টারের পক্ষ থেকে মোহনপুর উপজেলা খাদ্য গুদামের গত ২৮ মার্চ বেলা ১২ টায় থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ৮জন শ্রমিক মিলে কাজ করান, ওই সময় ওসি এলএসডি বাচ্চু মিয়া ৩০ কেজি পরিবর্তে ২৯ কেজি চাউল প্যাকেট করার নির্দেশ দেন রায়হানকে ২৯ কেজি ২০০ গ্রাম করে চাউল ৩ শত বস্তা প্যাকেট করে নতুন গুদামের উত্তর দিকে খামাল হতে আলাদা করে রেখে দিতে বাচ্চু মিয়া ওজনে কম করে। ওজনে প্রতি বস্তায় ২০০ গ্রাম চাউল বেশী পায় এতে ক্ষিপ্ত হয় বাচ্চু মিয়া, প্রতিনিয়ত একইভাবে শ্রমিকরা তাঁর আইন বর্হিভুত নির্দেশ মানতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে গোডাউনের মেন গেট বন্দ করে পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে রায়হানকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল ঘুষিসহ লাথি মারতে থাকে।
রায়হানসহ একাধিক শ্রমিক জানান,বাচ্চু মিয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাদ্য গুদামে যোগদানের পর থেকে ভাল চাউল কালো বাজারে ডিলারদের কাছে বিক্রি করে নিম্ন মানের চাউল ডিলারদের সাথে যোগসাজসে দুঃস্থমাতা,ফেয়ার প্রাইজ,খাদ্যবান্ধব,টিসিবি সব ক্ষেত্রে ৩০ কেজি চাউলের পরির্বতে ২৮/২৯ কেজি খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করে থাকেন এই প্রতিবাদ করা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করেন।
অভিযোগ সূত্রে গত ২৯ মার্চ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নুরুননবী শ্রমিক ওএমএস ডিলারদের উপস্হিত বক্তব্য শুনে তদন্ত করে খাদ্যগুদাম সিলগালা করে দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩০ মার্চ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ওমর ফারুক নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নুরুনবী,উপ-খাদ্য পরিদর্শক সালমা।
তদন্ত শেষ না হতে টিসিবি চাউল দেওয়ার নাম করে রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার দিকে নতুন গুদাম খুলে লেবার শ্রমিকদের দিয়ে চাউল বড় লছিমন ভুটভুটি লোড করছিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মী ভিডিও ধারন করেন, ঠিক সময় এই খাদ্যগুদামের আশেপাশের গতিবিধি লক্ষ্য করতে বাচ্চু মিয়াকে আম গাছের মগ ডালে দেখা গেছে।
সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মগডাল থেকে তড়িঘরি করে নেমে শ্রমিকদের নির্শেদ করে,সাংবাদিক ভিডিও করছে এই কথা বলে তাড়াতাড়ি গুদামের উত্তর দিকের গেট বন্ধ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকাকে অবগত করলে তিনি জানান,রাতে চাউল দিচ্ছে আমি জানি না আজ সিডি ফুড তদন্ত করে গেছে। আমি বিষয়টি সকালে দেখবো বলে এড়িয়ে যান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক(আহরন ও ব্যয়ন ক্ষমতাপ্রাপ্ত)রাজশাহী ওমর ফারুক এ বিষয়ে জানান,পরিমানে চাউল কম দেওয়ার শ্রমিককে মারপিটের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্ট প্রমাণিত হলে দাপ্তরিক যে প্রক্রিয়া আছে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।