বর্তমান খবর,রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা ৪ নং মৌগাছী ইউপি,মৌপাড়া ৭ নং ওয়ার্ডে দুটি পরিবার কে প্রভাবশালীর কর্তৃক শত বছরের যাতায়াতের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে অবরুদ্ধ করাই দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে পরিবারের লোকজনকে,প্রভাবশালীর কর্তৃক শত বছরের যাতায়াতের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্বাধীন দেশে অসাধিনতাই নিজেদের কে জড়িয়ে তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে শত বছরের যাতায়াতের একটি গলিপথ শত্রুতার জেরে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। যার ফলে ওই মহল্লার ২ টি পরিবার অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছে। এ ঘটনায় মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে ভুক্তভোগি রইচ উদ্দীন,ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) বরাবর রাস্তা উদ্ধারে একটি লিখিত আবেদন করেন।
বিষয় টি সাংবাদিকদের জানালে সরেজমিন গেলে উপজেলার মৌপাড়া গ্রামের অবরুদ্ধ কারী রইচ ও জালাল উদ্দিন,তার পরিবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রায় শত বছরের এই গলিপথ বন্দ করে দেওয়ার ফলে দুটি পরিবারের লোকজন ও স্কুল পড়-য়া শিক্ষার্থী বাঁশঝাড় পথ দিয়ে কষ্ট করে যাতায়াত করছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৃত সেকেন্দার আলী প্রতিবেশী মুক্তার হেসেন,মনসুর রহমান,মজিবর রহমান,লুৎফর রহমান,ক্ষমতাজোরে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শতবছরের এই গলি রাস্তাটি গত ১ মাস পূর্বে তিনটি স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয় এবং স্থানীয় লোকজন মিমাংসা করতে না পারাই,পরবর্তিতে তারা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর রাস্তা পুনরুদ্ধারে একটি লিখিত আবেদন করেন। রাস্তা বন্ধে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পুনরায় বাঁশের বেড়া দিয়ে উক্ত গলিপথটি বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে তারা এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ রয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়নের লোকজন বেড়ার কারনে তাঁরা মিটার বিলরিডিং লিখতে আসতে পারেনা।
অবরুদ্ধকারিরা বাঁশের বেড়া অপসারণের মাধ্যমে শতবছরের রাস্তা উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুক্তার হোসেন,মনসুর রহমান,সাংবাদিকদের জানান,শতবছর ধরে তাদের জমির উপর দিয়ে মানুষ চলাচল করে আসছে। এখন আমাদের জমির উপর দিয়ে আর কাউকে চলাচলের জন্য রাস্তা দিব না। তাই বাঁশের বেড়া দিয়ে গলিপথটি ঘিরে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ৭ নং ওয়ার্ডের আনোয়ার বলেন, আদোমি বেড়া খুলে দেওয়ার জন্য বলেছি তারা শুনছেন না,বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বসে কোন সমাধান হয়নি। তবে মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়া কখনও কাম্য নয়, (ইউএনও) এর কাছে অভিযোগের বিষয়টি কি বলেছে রইচ উদ্দিনকে, সাংবাদিকদের জানানোর পর মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আয়শা সিদ্দিকার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার ক্ষমতার বাইরে সরকারি জায়গা হলে আমি ও আমার সহকারী কমিশনার(ভূমি) উচ্ছেদের ব্যবস্থা করতাম এ বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই।
একই কথা সাংবাদিকের (ইউএনও)বলেন এবং নিউজের কথা বলে ও সিভিল আদালতের মামলা দায়ের পরামর্শ দিয়ে নিজে মুক্তহোন ও অবরুদ্ধ মুক্ত বিষয়টি আদালতের কার্যক্রমের অপেক্ষায় থাকতে বলেন।
পরবর্তী তিনি বলেন, বিষয়টি রইচ উদ্দিন থানায় অভিযোগ করলে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডলের নির্দেশনায় এসআই, আ:হাই সহ এ এসআই জোবায়ের ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন অভিযোগ হয়েছে আমি সু ব্যবস্থা নিবো।