বর্তমান খবর,নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারী খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে স্থানীয় এক আওয়ামী নেতা। সরকারী খালের জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়টি জানতে পেরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক শামিম হোসেন পরিদর্শনে আসলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ভবনটির মালিক, আওয়ামীলীগ নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বপ্ননীড় হাউজিং ইউনিট সভাপতি ইদ্রীস আলী।
অনুসন্ধানে উঠে আসে ইদ্রীস আলীর ভয়ঙ্কর অপরাধ কর্মকাণ্ড। তিনি মোহাম্মদপুর এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তার ভয়ে স্থানীয়রা কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তিনি মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা মোড়ের পাশেই স্বপ্ননীড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, মাদক বিক্রেতাদের আশ্রয় দাতা, ভূমি দখল ও ভাঙ্গারী চোরাই মালামাল বিক্রেতাদের আশ্রয় দিয়ে আসছেন।
তিনি এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে প্রায় ৫’শ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। মোহাম্মদপুর, বসিলা ও কেরানীগঞ্জ এলাকাসহ বিভিন্ন নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি মোহাম্মদপুরের সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব ও তার চাচা ইয়াসিন হাওলাদারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করে তিনি এমন অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। পাশাপাশি, চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলায় বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। বর্তমানে তার অবৈধ সম্পদ ও নিজেকে বাঁচাতে তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে ইউনিট সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন।
সম্প্রতি, মোহাম্মদপুরের তিনরাস্তা মোড়ের মাওয়া-কেরানীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ড এর পাশে খালের জায়গা দখল করে ৮তলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবন নির্মান করেছেন সরকারী খালের জমি জোড়-জবর দখল করে। ভবন নির্মাণ আইনের তোয়াক্কা না করেই করেছেন ভবন নির্মাণ। তার এই ভবনটির খোঁজ নিতে রাজউকের মোহাম্মদপুর এলাকার একাংশের পরিদর্শক শামীম হোসেন পরিদর্শনে গেলে তিনি ওই পরিদর্শকের ওপর ক্ষীপ্ত হয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। সে সময় পরিদর্শক জীবন বাঁচাতে সেখান থেকে দ্রুত সরে যান। স্থানীয়রা তার এমন কর্মকান্ডে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ এলাকাবাসী। তার এমন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে না পারলেও তার অপরাধ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়।