বর্তমান খবর,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শেখ ইমরান,রাজউকের দাপুটে প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ ইমারত পরিদর্শক। দায়িত্ব পালন করেন জোন ৬/১ এর পশ্চিম মালিবাগ,পশ্চিম রামপুরা ও হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্ট এলাকায়। ইমরান শেখের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার নির্মাণাধীন ভবন মালিক ও ডেভলপার কোম্পানীর মালিকগন এক মুহুত্ব শান্তিতে থাকতে পারে না ঘুষ বানিজ্যর কারনে।
প্রবীন এক ডেভলপার কোম্পানীর মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বর্তমান খবরকে বলেন নব্বই দশকে ঢাকার তেইশ শীর্ষ সন্ত্রাসীর চাঁদাবাজির যন্ত্রনায় ঢাকায় বিল্ডিং করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। বিল্ডিং এর কাজে হাত দিলেই দিতে হতো মোটা চাঁদা। আর চাঁদা দিতে না চাইলে আসতো প্রাণ নাশের হুমকি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল অতিষ্ঠ হয়ে একটা দীর্ঘ সময় ডেভলপার ব্যবসা বন্ধ রাখি। সময়ের বির্বতনে ২০২৪ সালে এসে সেই সব শীর্ষ সন্ত্রাসী নাই ঠিকই কিন্তু আমাদের চাঁদা দেওয়া বন্ধ হয়নি। কেবল ধরন বদলেছে সন্ত্রাসীর জায়গায় সরকারি আমলা আর চাঁদার আধুনিক নাম ঘুষ।
এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমারত পরিদর্শক শেখ ইমরান নিয়মিত ঘুষ প্রদানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন জলে বাস করে কুমিরের সাথে কি লড়াই করা যায়-ডেভলপার ব্যবসা করতে হলে এখনও ঘুষ দিতে হয় আগামীতেও হবে। ডেভিয়েশন করে ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মহানগর প্রজেক্টের এক ইন্জিনিয়ার বলেন ছারপত্র দিয়ে শুরু করে বিল্ডিং নির্মাণ শেষ করা অবদি রাজউক কর্মকর্তাদেরকে ঘাটে ঘাটে যে পরিমান টাকা দিতে হয় তাতে টিকে থাকতে হলে ডেভিয়েশন না করে উপাই থাকে না। আর তাছাড়া ডেভিয়েশন আছে বলেইতো ইমারত পরিদর্শকরা সাইট ভিজিট করে,নোটিশ পাঠিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে পারে।
পশ্চিম মালিবাগ ডাক্তার গলির ৩৩-৩৪, ৩৫/২/২, ৪৪ নং প্লটে নির্মিত ভবন সমুহের মালিকদের একজন বলেন আমার বিল্ডিং এ রাজউকের নীতিমালার সামান্য ব্যাপ্তই হয়েছে বলে ইমারত পরিদর্শক শেখ ইমরান স্যারদের কথা বলে কয়েক দফায় টাকা নিয়েছে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে এখন মনে হচ্ছে বিল্ডিং করতে গিয়ে মহাবিপদে পড়েছি। হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্ট এর ৫৪/সি, ১০১/সি, ২৯৪/২, ৩৬৮/১ নং প্লটের নির্মিত ভবন সমুহের মালিকগণ জানান ইমারত পরিদর্শক শেখ ইমরানকে ঘুষ দেওয়া এখন তাদের কাছে নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইমারত পরিদর্শক শেখ ইমরানের ঘুষ বানিজ্যর কারনে অতিষ্ট হয়ে পশ্চিম মালিবাগ,ডাক্তার গলির বাসিন্দা শেখ নাসির গত ১১/০২/২০২৪ তারিখে দুদকে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে অফিসে গিয়ে শেখ ইমরানকে না পেয়ে মোবাইলে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইমারত পরিদর্শক শেখ ইমরান উত্তেজিত হয়ে বলেন আমার নামে অভিযোগ আছে তাতে আপনার কি ? দুদকে অভিযোগ থাকলে দুদক তদন্ত করবে। আর আমার কর্তৃপক্ষকে আমি ম্যানেজ করেই চলি –বলে মোবাইলে লাইন কেটে দেন।
শেখ ইমরান এর দুর্নীতির বিষয়ে রাজউক জোন ৬/১ এর অথরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথ এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বর্তমান খবরকে বলেন কারো বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো ।
শেখ ইমরানের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত লালবাগের সম্পত্তি সহ সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরন ও অবৈধ্য টাকার তথ্য প্রমান বর্তমান খবর এর কাছে আছে যা আগামী পর্বে প্রকাশ করা হবে।