বর্তমান খবর,কাশিয়ানী(গোপালগঞ্জ)প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ*র্ষ*ণ করা হয়েছে। গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুরানী আক্তার (১০) এ ধর্ষণের স্বীকার হয়। ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী নুরানি খানম (১০) উপজেলার ঝুটিগ্রামের রবিউল আলম মীরের মেয়ে।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ধর্ষণের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ধর্ষণের পর অসুস্থ্য অবস্থায় বাড়িতে যাওয়ার পরে পরিবারের লোকজন তার জামা কাপড়ে রক্ত দেখে দ্রুত মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. দ্বীপ সাহা জানান, ‘শিশুটির অবস্থা দেখে প্রাথমিক ধর্ষণ মনে হয়েছে। পরে নার্স ডেকে তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটির অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।’
মাদরাসা শিক্ষার্থী নুরানী খানমের (১০) বাবা রবিউল আলম মীর জানান, ‘আমার মেয়ে বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। আজকে মাদরাসা থেকে বাড়িতে আসার পরে তাকে খুবই অসুস্থ দেখি এবং তার জামা কাপড়ে রক্তের দাগ লেগে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে আনি। মেয়ে বলেছে মাদরাসা থেকে তার হুজুর তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে সে অজ্ঞান হয়ে গেলে আর কোনো কথা বলতে পারেনি। আমি আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই।’
ওসি জানান, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়েছি। মাদরাসা শিক্ষার্থী নুরানী আক্তার ধর্ষিত হয়েছে। তার অবস্থার অবনতির কারণে ডাক্তার তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করেছে। আমরা থানা পুলিশ ধর্ষককে শনাক্তর চেষ্টা চালাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার করা হবে। ইতোমধ্যে বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেখানে কাওকে পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে মাদরাসার কোনো শিক্ষক এই ঘটনা ঘটাতে পারে।