বর্তমান খবর,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : ড্রাগন ফল ও পেয়ারা ফলে টনিক হরমোন পুস করে মোটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ড্রাগন চুয়াডাঙ্গার চাষীদের বিরুদ্ধে। অধিক লাভের আশায় ড্রাগন চাষীরা চোরাই পথে ভারত থেকে এ টনিক হরমোন নিয়ে আসছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ড্রাগন এ ফল খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য বড় ধরনের ক্ষতিকর বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা। বাজারের রং বেরং এর নতুন নতুন ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা না বুঝে এসব ফল টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে খাচ্ছে। তারা বুঝতে পারছে না এসব ফলে কি মিশানো হচ্ছে এসব ফল র্নিবিঘ্নে কিনে নিয়ে বাচ্ছাদের খাওয়াচ্ছে।
এ বিষয়ে একজন ক্রেতা বলেন, ড্রাগন ভারতের এক ধরণের টনিক ইনজেশনের মাধ্যমে মোটা হচ্ছে যার কারণে ড্রাগন ফল এত মোটা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার বাজারে ও ড্রাগন বাগানে বিভিন্ন জায়গায় সরজমিনে গিয়ে দেখে গেছে ভিন্ন চিত্র। কোন বাগানে ছোট ড্রাগন আবার কোন বাগানে অনেক বড় বড় ড্রাগন ফল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলে একজন চাষী বলেন, আমরা এক ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করি যার ফলে ড্রাগন ফল ভাল বড় হয়।
কিন্তু নাম না বলার শর্তে এক চাষী বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে চোরাই পথে এক ধরনের হরমন টনিক চাষীরা ব্যবহার করছে। যার ফলে এক একটি ড্রাগন ফল এতো মোটা হচ্ছে। যেখানে ২শ গ্রাম থেকে আড়াইশ গ্রাম হওয়ার কথা সেখানে ১ থেকে দেড় কেজি ওজন হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয় ড্রাগন চাষী গিয়াস উদ্দিন পিনা জানান, ড্রাগন ফলে যেটা মিশানো হচ্ছে সেটি হলো এ্যাসিড প্রাণ হরমোন টনিকটি মানবদেহের জন্য অনেক ক্ষতি। তিনি আরো বলেন। বেগুনসহ বিভিন্ন ফল জাতীয় ফসল গুলোতে পুস করা হচ্ছে এ হরমন টনিক। এতে মানবদেহে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতি।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন সুলতানা জানান, কোন কৃষকে আমরা টনিক হরমোন ব্যবহারের পরামর্শ দিই না। তাছাড়া যেহেতু এটি ভারত থেকে অবৈধ পথে আসছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি ক্ষতিকারক কিনা তা জানতে ঢাকা মহাখালি পরীক্ষাগারে প্রেরণ করেছি। এ টনিক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে বলতে পারবো। এ টনিকটি খাওয়ার উপযোগী কিনা।
অপরদিকে জীবন-নগর উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. মনিরুজ্জামান জানান, স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠা ফল খাওয়াই উত্তম। কোন ঔষধ মিশানো ফল খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ কোন হরমোন শরীরের জন্য ভাল বা খারাপ অথবা এসব হরমন শরীরের কি ধরণের প্রতিক্রীয়া হবে এটা বলা সম্ভব নয়। তবে এসব ফল না খাওয়ায় ভাল।
দামুড়হুদা উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোকসানা কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসকের কাছে বলে তথ্য বিভাগের মাধ্যমে ড্রাগন চাষীদের সচেতন করার ব্যবস্থা নেব।