মহাদেবপুর পল্লীবিদ্যুতের অনিয়ম দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত: ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪

বর্তমান খবর,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার,পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখার কেহ আছে বলে মনে হয় না। সভাপুর ইউনিয়ন, তাতার পুর গ্রামে দেখা যায়,আনুমানিক ৫০০ শত গজের মধ্যে একটা গভীর ও তিনটি অগভীর নলকূপ স্হাপন করা হয়েছে। যা সরকারি নিয়মের পরিপন্থী।

মহাদেবপুর উপজেলা ধীন তাতার পুর গ্রামে স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পাঁচশত গজের মধ্যে একটি গভীর নলকূপের পাশে আরও তিনটি অগভীর নলকূপ স্হাপন করা হয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুসারে একটা গভীর নলকূপের ১৬৪০ ফিট ও stw বা অগভীর নলকূপের ৮২০ ফিটের মধ্যে কোন সেচের জন্য কোন নলকূপ স্হাপন করা যাবে না।

এ নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে একটা বড় ধরনের মনোমানিল্য বা বিবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের জানামতে গত দু-বৎসর পূর্বে উক্ত স্থানে একজন মানুষ খুন হয়েছে। এ বিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলা বরেন্দ্র ইজ্ঞিনিয়ার মোঃইমদাদুল হক সাহেবকে কে প্রশ্ন করলে তিনি জানান আমরা গত জানুয়ারি ২০২৪ পল্লী বিদ্যুত মহাদেবপুর কে চিঠি দিলে তার অগভীর নলকূপের বিদ্যুত বিছিন্ন করে, কিন্তু তার ৪ দিন পরে কোন অদৃশ্য কারনে আবারও সংযোগ স্থাপন করে তা আমাদের জানা নাই।

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃকামরুল হাসান সোহাগ কে বিষয়গুলো জানালে তিনি বলেন,আমি এবিষয়ে কিছু জানিনা বা গ্রাম বাসীও আমাকে জানায়নি। আপনারা সাংবাদিক হিসেবে আমাকে জানালেন ( তিনি নোট নেন) বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো এবং ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ তিনি জানান আমি নতুন পোস্টিং এসেছি তবে আমি এবিষয় শুনেছি, আগামী সেচ কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করবো। গত বৃহস্পতিবার ১৫/২/২৪ ডিজি এম পল্লিবিদ্যুত মোঃরবিউল আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সময় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। গতকাল শনিবার ১৭/২/২৪ সকাল ১০,২০ মিঃ তার অফিসে গেলে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

মুঠোফোনে নওগাঁ, পত্নীতলা পল্লিবিদ্যুত-২ জিএম শাহ্ মোঃরাজ্জাকুর রহমান সাহেবের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উর্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া সাক্ষৎকার দেওয়া নিষেধ। উক্ত বিষয় গুলো অবহিত করলে,তিনি জানান যদি কোন অনিয়ম হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মহাদেবপুর পল্লি বিদ্যুতের ডিজি এম মোঃরবিউল আলম কে প্রশ্ন করলে জানা যায় বাঁশের খুঁটি দিয়ে ১৫০০ শত গজ দূরে বাঁশঝাড় ও ক্ষেতের মধ্য দিয়ে যে একই তার দিয়ে ৪০০ শত গজের মধ্যে তিনটা অগভীর নলকূপ পানি সেচ দিচ্ছে এতে কোন দূরঘটনার কোন সম্ভাবনা রয়েছে কি না?

তিনি জানান আমাদের এই তার এর চেয়ে বেশি বিদ্যুত সাপ্লাই দেওয়ার সক্ষমতা রাখে। পাঁচশত গজের মধ্যে তিনটি অগভীর এবং একটি গভীর নলকূপ কি ভাবে স্থাপন হয়েছে তিনি বলেন সেচ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। মুঠোফোনে তৎক্ষনাৎ বরেন্দ্র উপ প্রকৌশলী মোঃরমজান আলী কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান আমরা গত জানুয়ারি ২০২৪ শে বিদ্যুত সংযোগ বিছিন্ন করার ৪ দিন পরে আবারও সেই সংযোগ স্থাপন করেছে।

বিষয়গুলো পল্লী বিদ্যুতের ডিজি এম, মোঃ রবিউল আলম কোন কাগজ বা বরেন্দ্র কর্তীপক্ষের কোনো চিঠি দেখাতে পারেন নাই। তিনি অধিকাংশ প্রশ্ন এরিয়েযান। গভীর নলকূপের অপারেটর কে সেচ চলা কালিন প্রতি ঘন্টায় ১০ টাকা করে দিতে হয় বরেন্দ্র কর্তপক্ষকে বর্তমান এই গভীর নলকূপে মাত্র ২৫ বিঘার মত জমি সেচ দিচ্ছে। যেখানে প্রায় ১৫০ বিঘা থেকে ২০০ বিঘা জমি চাষ করা সম্ভব।