বর্তমান খবর,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
বিএনপির সভাপতি সামাদ মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলা মওদুদ যৌথ স্বাক্ষরিত বিএনপির দলীয় প্যাডে প্রত্যয়নপত্র ঘিরে বিতর্ক: শহীদের নামে চাকরি সুপারিশ ?
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.আব্দুস সামাদ মন্ডলের একটি প্রত্যয়নপত্র ঘিরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই দলীয় প্রত্যয়নপত্রে দেখা যায়,বিএনপির পক্ষ থেকে মোঃ তাহানুর ইসলাম প্লাবন নামের এক যুবককে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য “জোর সুপারিশ” করা হয়েছে-শুধুমাত্র শহীদ শাফিনুরের পরিবারের সদস্য হওয়ার ভিত্তিতে।
প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে,তাহানুর ইসলাম শহীদ শাফিনুরের পরিবারের সদস্য এবং এই কারণে তাকে চাকরির জন্য প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে,একটি রাজনৈতিক দল কিভাবে পুলিশ বাহিনীর মতো একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থায় নিয়োগে সুপারিশ করতে পারে..?
এ নিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন,উপজেলা বিএনপির এমন পদক্ষেপ প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলে। অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা বলেও উল্লেখ করছেন। স্থানীয় অন্যান্য দলের নেতারাও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি,“এই ধরনের চিঠি স্পষ্ট করে দেয়, বিএনপি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করতে চায়।”
অন্যদিকে,বিএনপির স্থানীয় নেতারা দাবি করছেন,এটি নিছক একটি মানবিক অনুরোধ,যেখানে একজন শহীদ পরিবারের সদস্যকে সহায়তার কথা বলা হয়েছে। অথচ শহীদ শাফিনুরের পরিবারের ওয়ারিশ সনদে তাহানুর ইসলাম প্লাবন নামে কেউ নেই।
তথ্য সুত্রে আরো জানা যায়,যেহেতু ওয়ারিশ সনদে প্লাবনের নাম নাই তাই তাকে এই প্রত্যায়ন পত্রের মাধ্যমে চাকুরী পাইয়ে দেয়ার শর্তে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে,একজন রাজনৈতিক দলের হাতে রাষ্ট্রীয় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপারিশ করার এখতিয়ার কতখানি.? আর এর মাধ্যমে কি প্রশাসনের নিরপেক্ষতা হুমকির মুখে পড়ছে না?
উল্লেখ্য,এই উপজেলা বিএনপির সভাপতি সামাদ মন্ডল ওরফে মারো সামাদ ইতিপুর্বেও অবৈধ ভাটায় অভিযান পরিচালনার সময় অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে সরকারি কাজে বাধাগ্রস্থ করে অবৈধ ভাটা মালিককেও সুবিধা পাইয়ে দেয়। অথচ সেই অবৈধ ইট ভটার মালিক ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলিগের একজন বড় ডোনার ছিলেন। বর্তমানে তিনি পলাতক থাকায় ভাটার ব্যবসা দেখাশুনা করছেন এই সামাদ মন্ডল ওরফে মারো সামাদ। সেই সংবাদ প্রকাশ করার জেরে বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ কর্মিকে দেখে নেয়ার হুমকিও প্রদান করে এই সামাদ মন্ডল।
Leave a Reply