
বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো: একুশে ফেব্রæয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বায়ান্ন থেকে চব্বিশ সকল শহীদ স্মরণে রংপুরে শুরু হয়েছে তিনব্যাপী বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীতে শিল্পীদের রঙ তুলিতে উঠে এসেছে সম্ভাবনার নৈসর্গিক বাংলাদেশ,মানুষের আশা আকাঙ্খা সময়ের চিত্র।
আজ ২১ ফেব্রæয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির গ্যালারি চত্ত¡রে বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন,শিল্প মানব সত্তার গভীর অনুভ‚তির প্রকাশ।
এটি শুধু রং ও আকৃতির খেলা নয়,বরং চিন্তা,সংস্কৃতি ও সময়ের প্রতিফলন। রংপুর বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী নতুন ও অভিজ্ঞ শিল্পীদের সৃষ্টিশীল ভাবনার প্রকাশের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম।
এ প্রদর্শনী শুধু শিল্পের অনুরাগীদের জন্য নয়,বরং এটি সমাজকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপহার দেয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধক দেশ বরেণ্য চারুশিল্পী ও ইউডার চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন,বাংলাদেশের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ একটি জেলা শহর রংপুর।
রংপুরের অনেক গুনি শিল্পী দেশের গন্ডি পেরিয়ে বহিঃবিশ্বে তাদের কাজের স্বাক্ষর রেখেছে। সেইসঙ্গে রসে ভরপুর রংপুরে চারুকলা বিকাশের উদ্দেশে বিভাগীয় এ চারুকলা প্রদর্শনী সব শিল্পীর জন্য আনন্দের এবং উৎসবের।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী উদযাপন পর্ষদের উপদেষ্টা ও জেলা কালচারাল অফিসার কে এম আরিফুজ্জামান,উপদেষ্টা চৌধুরী মাহামুদুন্নবী ডলার,যুগ্ম আহŸায়ক মিজানুর রহমান মিসু,সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবির,যুগ্ম সদস্য সচিব মাহামুদুন্নবী বাবুল প্রমুখ।
উদ্বোধনের পর শিল্পকলা একাডেমির প্রথম ও দ্বিতীয় তলার প্রদর্শনী গ্যালারি দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। এ প্রদর্শনীতে রয়েছে জলরং ও এক্রেলিক পেইন্টিং,ড্রইং ও স্কেচ,মিনিয়েচার ভাস্কর্য,টেরাকোটা এবং ক্যালিগ্রাফি। প্রদর্শনীতে দেশের ৫২ জন শিল্পীর ১০৮টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীর গ্যালারি উন্মুক্ত থাকবে। নর্থ ক্যানভাস বাংলাদেশের উদ্যোগে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে,চট্রগ্রাম থেকে শিল্পী হাবিব উল্লাহ বাহার,সৌমেন চৌধুরী,ফরহাদুল আলম সবুজ,ময়মনসিংহ থেকে শিল্পী এমডি রাজন,শিল্পী ধর্ম নারায়ন রায়,সিলেট থেকে শিল্পী জিয়াউল হক,এম এ আহাদ পলাশ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পীদের মধ্যে সামিয়া রহমান,ঋতু প্রামানিক,মুনেম শাহারিয়ার,সুতপা বর্মন,তামান্না ইয়াসমিন,ঢাকার শিল্পী ইমন আলী,আনহা মৌ,টাইগার নাজির,অরুন কুমার বর্মন,বগুড়া আর্ট কলেজের সাঈদ মালিথা,কেয়ায়েত উল্লাহ,গাজি আশা অনিক রায় প্রমুখ।