গণমাধ্যমের জন্য ১০ম ওয়েজবোর্ড ঘোষণার দাবি

প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫

বর্তমান খবর,ঢাকা,১৯ ফেব্রুয়ারি,২০২৫: সকল গণমাধ্যমে ৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন এবং অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স। আজ সংগঠন দু’টির এক যৌথ সভায় নেতারা ১১ দফা দাবী উত্থাপন করেন।

বাসস এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স-এর সভাপতি মো.আলমগীর হোসেন খান এবং সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন-এর মহাসচিব মো.খায়রুল ইসলাম।

নেতারা বলেন,প্রায় ৮ বছর আগে ৯ম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হয়। প্রতি ৫ বছর পর পর ওয়েজবোর্ড ঘোষণার রেওয়াজ থাকলেও ১০ম ওয়েজবোর্ড এখনো ঘোঘণা করা হয়নি।
সভা থেকে জীবনযাত্রার মান,বাজার পরিস্থিতি ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশা বিবেচনায় অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড ঘোষণার দাবি জানানো হয়।

গণমাধ্যমগুলোতে ৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না হওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক,শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঠিকমত বেতন ভাতা না দেওয়া এবং কথায় কথায় চাকুরিচ্যুত করায় নিন্দা প্রকাশ করেন নেতারা।

সভায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনে বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কাস গণমাধ্যমের দুটি মূল স্টেকহোল্ডার হওয়া সত্ত্বেও অন্তর্ভুক্ত না করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

এছাড়া বলা হয়,গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ওয়েজবোর্ডসহ সংবাদপত্র শিল্পের কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং এই শিল্পে কোন অরাজকতা সৃষ্টি হলে তার দায়দায়িত্ব গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনকে বহন করতে হবে। সভায় শ্রমিক ও কর্মচারিদের ১১ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো-গণমাধ্যমে ৯ম ওয়েজবোর্ড দ্রুত বাস্তবায়নসহ বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে জীবন-জীবিকার তাগিদে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনসহ ১০০% মহার্ঘভাতা ঘোষণা করা,সাধারণ কর্মচারী ও প্রেস শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাষ্ট গঠন করা,সংবাদপত্র কর্মচারী চাকরি শর্তাবলী আইন ১৯৭৪ এবং শ্রম আইন-২০০৬ অধিকতর সংশোধন পূর্বক গণমাধ্যম কর্মী চাকরি শর্তাবলী আইন প্রণয়ন করা,সংবাদপত্র শিল্পের জন্য একটি বৈষম্যহীন নীতিমালা প্রণয়ন,সাধারণ কর্মচারি ও প্রেস শ্রমিকদের নিজস্ব অফিস ভবন এবং আবাসন সমস্যার দ্রুত সমাধান করা,পিআইবি-তে শ্রমিক কর্মচারিদের পূর্বের ন্যায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা,সংবাদপত্র শিল্পে সাংবাদিকদের ন্যায় সমতা নীতির ভিত্তিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান যেমন-সরকারি খরচে প্রতি বছর হজে গমণে গণমাধ্যমের কর্মচারি ও শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম কোটা সংরক্ষণ, সংবাদপত্র শিল্পে (গণমাধ্যম) ছাঁটাইকৃত শ্রমিক-কর্মচারিদের বকেয়া পাওনাদি দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা করতে তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক উদ্যোগ গ্রহণ করা,গণমাধ্যমে (সংবাদপত্র শিল্পে) শ্রমিক-কর্মচারীদের হয়রানি,ছাঁটাই বন্ধ ও অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারিদের ৩/৬ মাসের মধ্যে আইনানুগভাবে স্থায়ীকরণ,সকল গণমাধ্যমে (সংবাদপত্র শিল্পে) ট্রেড ইউনিয়ন করার পূর্ণাঙ্গ অধিকার প্রদানে আইনগত সুরক্ষা দেয়া,যে সকল গণমাধ্যমে ওয়েজবোর্ড অদ্যাবধি বাস্তবায়ন করেনি,সে সকল সংবাদপত্রে সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা অবিলম্বে বন্ধ করা এবং নামসর্বস্ব পত্রিকাসমূহে সরকারি বিজ্ঞাপনসহ সুযোগ-সুবিধা দ্রুত বন্ধ করা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স-এর মহাসচিব মোশতাক আহমেদ এবং বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশন-এর যুগ্ম মহাসচিব তানভির হোসাইন,মোহাম্মদ আলি খান অপু,মো.মাকসুদুল আহসান,ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়া,জাহাঙ্গির হোসেন,তাজাম্মেল হক,ওমর ফারুক,খবির উদ্দিন পাটোয়ারিসহ অন্যান্য নেতারা।