রংপুরে ঘাঘট নদে হচ্ছে ফসল চাষ

প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫

বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো: একসময় প্রবাহমান ঘাঘট নদটি ছিল রূপ ও সৌন্দর্যে ভরা। প্রতিবছরে বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পলি জমে হারিয়ে যাচ্ছে ঘাঘট নদের নাব্যতা। হারাচ্ছে চিরচেনা সেই যৌবন। কালের প্রবাহে পানি শূন্য ঘাঘট নদের বুকে এখন ধানসহ নানা ফসলের চাষ করা হচ্ছে। এখন এ নদের তাকালে মনে হয় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী, বড়বিল, আলমবিদিতর এলাকার ঘাঘটের বুকে দেখা যায় ধান,পেঁয়াজ,মরিচ,রসুনসহ বিভিন্ন সবজি ও ফসল চাষ করা হয়েছে। ঘাঘট নদের বোরো ধান চারা রোপণ করেছে জলিল, মোজাম্মেলসহ অনেক কৃষক।
সরকারিভাবে নদী রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ঘাঘট এখন নামসর্বস্ব নদী।

জানা যায়, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুজিপাড়া গ্রামে তিস্তার শাখানদ হিসেবে ঘাঘটের যাত্রা শুরু হয়। পরে এটি গঙ্গাচড়া উপজেলার পশ্চিম সীমানা দিয়ে নোহালী, আলমবিদিতর ও বেতগাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে রংপুর সদর উপজেলা অতিক্রম করে পীরগাছা উপজেলায় প্রবেশ করেছে। আঁকাবাঁকা পথে ঘাঘটের দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার। শুকনো মৌসুমে ঘাঘটের পানিপ্রবাহ এখন শূন্যের কোঠায়। অথচ বর্ষাকালে নদীভাঙনে প্রতিবছর বিলীন হয় ফসলি জমি ও স্থাপনা। নদটি খনন করা হলে কৃষি কাজে ব্যবহার হবে ঘাঘট নদের পানি। বাড়বে মাছের উৎপাদন। তা না হলে স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে যাবে ঘাঘট নদটি।

উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাইমিন ইসলাম মারুফ বলেন,দীর্ঘদিন থেকে ঘাঘট নদ খনন না করায় ভরাট হয়ে গেছে ঘাঘট নদের তলদেশ। বর্ষাকালে অল্প পানিতে নদ ভরাট হয়ে বন্যা দেখা দেয়। নদতীরবর্তী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। তিনি আর বলেন, নদটি খনন করলে শুকনো মৌসুমে নদের পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ করা যেত। বর্ষাকালে প্রচুর মাছ উৎপাদন হতো। ফলে অনেকের জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম হতো।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান বলেন, ঘাঘট নদের কিছু অংশ খনন করা হয়েছে। তবে গঙ্গাচড়া পয়েন্টে খনন করা হয়নি। ঘাঘট নদের উৎপত্তিস্থল থেকে শেষ পর্যন্ত খননের জন্য একটি সমন্বিত প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে।