মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অবৈধ উপাধ্যক্ষ নুরুল হুদা

প্রকাশিত: ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৪
অবৈধ উপাধ্যক্ষ নুরুল হুদা

বর্তমান খবর,নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ কলেজ ডিগ্রি অনুমোদন পায় ০১/০৭/২০০০ সালে। কিন্ত কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল হুদা ডিগ্রি অনুমোদনের এক মাস পূর্বে ০১/০৬/২০০০ সালে উপাধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন। তাহলে ডিগ্রি শিক্ষাক্রম অনুমোদন পাবার আগেই নিয়োগ বোর্ড গঠন হলো কিভাবে আর সেই নিয়োগ বোর্ডের সদস্য কারা ছিলেন। আর কোন অনুমতি পত্রের বলে নিয়োগ বোর্ড গঠিত হয়ে ছিল।

অনুসন্ধানে জানা যায় মোঃ নুরুল হুদা ১৬/০৬/১৯৯৪ সালে ইসলামের ইতিহাস প্রভাষক হিসাবে কলেজে যোগদান করেন। এবং ১৩/০৫/১৯৯৫ সালে এমপিও ভুক্ত হন। ০১/০৭/২০০০ সালে আইন ভঙ্গ করে উপাধ্যক্ষ হিসাবে যোগদানের সময় মোঃ নুরুল হুদা ইসলামের ইতিহাস প্রভাষক পদ থেকে অব্যহতি নেন নাই। তিনি একই সাথে প্রভাষক ও উপাধ্যক্ষ পদ ধরে রেখে বেতন উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে ০১/০৫/ ২০০২ সালে ডিগ্রি কলেজ এমপিও ভুক্ত হলে মোঃ নুরুল হুদা উপাধ্যক্ষ হিসাবে বেতন উত্তোলন করেন। যা সম্পর্ণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি বিধি বহির্ভূত।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরীর শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত)২০১৯ এর (৪) (ক) ধারায় অধ্যক্ষ নিয়োগের যোগ্যতা বিষয়ে উল্লেখ আছে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পযায়ে ন্যূনপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণীসহ স্নাতক পযায়ে পাঠদানকারী কোন কলেজের অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ/অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক/সহকারী অধ্যাপকগন উল্লেখিত পদে আবেদন করিতে পারিবেন।

আবেদনকারীর নূন্যতম ১৫(পনেরো ) বৎসরের ডিগ্রী কলেজ পযায়ে পাঠদানের অভিজ্ঞতা থাকিতে হবে। আবেদনকারীর অবশ্যই ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসাবে ৩ (তিন) বৎসর অথবা সহকারী অধ্যাপক হিসাবে ৫ (পাঁচ) বৎসরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে । এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে গত ২৮/০৩/২০২৩ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ জানানো হলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরু হুদার বিষয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি-অভিযোগ প্রত্রের ডকেট নং ৬৭৬।

অভিযোগের বিষয়ে উপাধ্যক্ষ মোঃ নুরুল হুদার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বর্তমান খবরকে বলেন আমি যেভাবে উপাধ্যক্ষ হয়েছি সেটাই ঠিক। তিনি প্রতিবেদককে বলেন আমাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাধ্যক্ষ হবার অনুমতি দিয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন আর অনুমতি পত্র আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি মুঠো ফোনের লাইল কেটে দেন।

উপাধ্যক্ষ মোঃ নুরুল হুদার বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বেসরকারি কলেজ শাখা -২ এর উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান বর্তমান খবরকে বলেন-অভিযোগ পেয়েছি খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।