রংপুর অঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ১২:২৩ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৫

বর্তমান খবর,রংপুর ব্যুরো:

কৃষি প্রণোদনা ও অনুক‚ল আবহাওয়ার করাণে চলতি বছর রংপুর অঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। রংপুর অঞ্চলে পাঁচ জেলার বোরো ধান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর। সেখানে চাষ করা হয়েছে ৫ লক্ষ ৯ হাজার ৫৬ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে চালের গড় উপৎপাদন ধরা হয়ছে ৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে ২২ লক্ষ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশা করা যাচ্ছে। ধানের হিসেবে ৩৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে।

রংপুর বিভাগের নীলফামারী,রংপুর,কুড়িগ্রাম,লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রংপুর অঞ্চলে পাঁচ জেলার মোট আবাদের ১৫ শতাংশ ধান কৃষকের গোলায় উঠেছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। ধান কাটার শ্রমিক সংকটে এবারও রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলার কৃষি মৌসুমি শ্রমিকরাও রয়েছে চাঙ্গাভাবে। চলতি মৌসুমে বোরো ধান কাটা মাড়াই করে একমাসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয় করবে কৃষি শ্রমিকরা। গত কয়েক মৌসুম থেকে কৃষি শ্রমের মূল্য ৫-৬ গুণ বৃদ্ধি হওয়ায় শ্রমিকরা বেজায় খুশি।

বাজারে ধানের দাম স্বাভাবিক থাকায় কৃষকরাও শ্রমিকদের বেশি মূল্য দিতে কার্পণ্য করছেন না। এদিকে ধান কাটা মাড়াই করতে কৃষি শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। দিন হাজিরায় ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

পীরগাছার কৃষক আনছার আলী,রংপুর সদরের গৌতম রায় বলেন,হাট-বাজারগুলোতে বোরো ধান কেনা বেচা হচ্ছে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। কোথাও এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

কৃষকরা বলেন, ৫ বছর আগেও ১ একর জমির ধান কাটা মাড়াই করতে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা প্রযোজন হতো। এক দোন (২৪ শতক) জমির ধান কাটা মাড়াই করে ঘরে তুলতে কৃষকদের খরচ হচ্ছে প্রায় চার হাজার টাকা। সেই হিসেবে প্রতি একরে খরচ পড়ছে প্রায় ১২-১৪ হাজার টাকা। অপরদিকে, দিন হাজিরায় যেসব শ্রমিক কাজ করত তাদেরও মজুরি বেড়েছে কয়েকগুণ।
৫-৭ বছর আগে দুইশত টাকায় যে শ্রমিক দিন হাজিরায় কাজ করত এবার তারা ৫০০ টাকার নিচে কাজ করছে না।

এদিকে রংপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আবু মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষকদের ধান চাষে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। ধান ক্ষেতে কোনো প্রকার রোগ দেখা দিলে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ভালো দাম পাওয়া যাবে।

রংপুর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রংপুর জেলায় ৪০ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে বীজ ধানের কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, সলমন পদ্ধতিতে ১৫০ একর করে দুটি প্রদর্শনী প্লট করা হয়। এতে করে কৃষককে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হয়।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, রংপুরে প্রায় ১০ লক্ষ, নীলফামারীতে ৫ লক্ষ, লালমনিরহাটে ৪ লক্ষ, গাইবান্ধায় ৬ লক্ষ,, কুড়িগ্রামে ৭ লক্ষ, দিনাজপুরে ১২ লক্ষ, ঠাকুরগাঁয়ে ৭ লক্ষ ও পঞ্চগড়ে ৩ লক্ষ কৃষি শ্রমিক রয়েছে। এই শ্রমিকা শুধু আমন ও বোরো মৌসুমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করেন। অন্য সময়ে এরা শহরে রিক্সা, ভ্যান অথবা অন্য কোন পেশা গ্রহণ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

পুর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবার ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি বলেন রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলার নদীর চরাঞ্চলে প্রচুর রোবো ধান চাষ করা হয়েছে। এপর্যন্ত ১৫ শতাংশ ধান কৃষকরা ঘরে তুলেছে। মাঠে কৃষকরা এখন ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

, রংপুর জেলায় ৪০ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে বীজ ধানের কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, সলমন পদ্ধতিতে ১৫০ একর করে দুটি প্রদর্শনী প্লট করা হয়। এতে করে কৃষককে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হয়। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, রংপুরে প্রায় ১০ লক্ষ, নীলফামারীতে ৫ লক্ষ, লালমনিরহাটে ৪ লক্ষ, গাইবান্ধায় ৬ লক্ষ,, কুড়িগ্রামে ৭ লক্ষ, দিনাজপুরে ১২ লক্ষ, ঠাকুরগাঁয়ে ৭ লক্ষ ও পঞ্চগড়ে ৩ লক্ষ কৃষি শ্রমিক রয়েছে। এই শ্রমিকা শুধু আমন ও বোরো মৌসুমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করেন। অন্য সময়ে এরা শহরে রিক্সা, ভ্যান অথবা অন্য কোন পেশা গ্রহণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। রংপুর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবার ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি বলেন রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলার নদীর চরাঞ্চলে প্রচুর রোবো ধান চাষ করা হয়েছে। এপর্যন্ত ১৫ শতাংশ ধান কৃষকরা ঘরে তুলেছে। মাঠে কৃষকরা এখন ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।