খুলনা প্রতিনিধি ঃ বর্তমান প্রজন্ম ফেসবুক, টুউটার, ইন্সটগ্রামসহ প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন মাধ্যমে এতই বুদ হয়ে আছে যে তারা কবিতা পড়ে না, গল্প পড়ে না। বিভিন্ন বিষয়ভিতিত্তক বই পড়তেও অনাগ্রহী। তরুন সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে অসামজিকতা, মাদকাসক্তিসহ নানা অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। অভিভভাবকেদের তাদের সন্তানদের প্রতি যত্মশীল হতে হবে। তাদেরকে যেমন সন্তানকে পাঠ্য বই পড়ানোর জন্য দিন রাত এ কোচিং সে কোচিং নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে সময় ব্যয় করতে হয় তেমনিভাবে সন্তানদের সাহিত্য চর্চায় উদ্ভুদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে। এক কথোপকথনে এমন বিষয়টি বললেন কবি, ছড়াকার, গল্পকার, সামাজিক কাজে আত্মনিয়োগকারী সোমা মুৎসুদ্দী।
সোমা মুৎসুদ্দী বৌদ্ধধর্মালম্বি এক নারী। বাড়ি চট্রগ্রামের রাউজান উপজেলার মহামুনী পাহাড়তলী গ্রামে। বাবা স্বপন মুৎসুদ্দী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। নিজ বাড়িতে অবসর জীবন যাপন করছেন। কবি সোমার স্বামী সুব্রত সেবক বড়ুয়া যমুনা ব্যাংকের উর্ব্ধতন কর্মকর্তা। কর্মজীবন বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত চট্রগ্রাম নগরীতে। কবি ও ব্যাংকার দম্পতির দুই সন্তান। ছেলে এবার এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাবার অপেক্ষায় রয়েছে। মেয়ে চট্রগ্রাম নগরীর একটি নামী বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে।
আবৃতিকার সোমা জানালেন তার শ্বপ্নের কথা , তার ভাবনার কথা। চট্টগ্রামের সাহিত্য জগতে ও আবৃত্তি জগতে এখন পরিচিত একটি নাম ও মুখ সোমা মুৎসুদ্দী । মুৎসুদ্দীর বাড়ি চট্টগ্রাম হলেও বাবার চাকরি সূত্রে জন্ম হয়েছিল টাংগাইলের কুমুদীনী হাসপাতালে। ছোট বেলা থেকেই লেখা ও আবৃতি চর্চার সাথে জড়িত। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াকালিন সময়ে তার লেখা কবিতা বিদ্যালয়ের দেয়াল পত্রিকায় স্থান পায়।
তিনি জানালেন আবৃতির হাতে খড়ি কাকার কাছেই । এর পর প্রমা আবৃতি সংগঠনে আবৃতির কোর্স করেন। তা ছাড়াও চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠ চক্র বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জয় মাল্টিমিডিয়া ও নানা সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। নিয়মিত সাহিত্য চর্চা ও আবৃতি করে চলেছেন। সোমা বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাহিত্য বিষয়ক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। তার লেখা অনেক কবিতা কলকাতার পত্রিকা, ঢাকার দৈনিক পত্রিকা, আঞ্চলিক পত্রিকা, খুলনার পত্রিকাসহ বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়।
যে কোন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পোষাক নির্বাচনেও তার রুচিশীলতার ছাপ রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন , আমি শাড়ি পড়তে খুব পছন্দ করি । বিশেষ করে টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি খুবই প্রিয়। যেহেতু আবৃতি আর সাহিত্য বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে থাকি সেহেতু বাঙ্গালী নারী হিসেবে শাড়িটাই বেছে নিতে হয়। তাই নয় শাড়ির সাথে মিলিয়ে গয়না চুড়ি আর টিপ পরে থাকেন। যেখানেই যান ঐতিহ্যবাহী গয়না সংগ্রহ করেন। খাবার দাবারেও তিনি সাধারন সব খাবারই খেয়ে থাকেন। তার খাদ্যের প্রিয় সে তালিকায় ডাল, সবজি, ছোট মাছ, ভর্তাই তার প্রিয়। রান্না করতেও খুব পছন্দ করেন।
তার সাহিত্যের এসকল কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেছেন অনেক সম্মাননা পদক ও সনদপত্র। তার প্রথম সম্মাননা অর্জন চট্টগ্রাম এর মিরসরাই থেকে । এরপর শিল্পকলা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক সংগঠণসহ অনেক সংগঠণের পক্ষ থেকে পেয়েছেন পুরুস্কার। এছাড়া খুলনার সাহিত্য পত্রিকা ও সাহিত্য সংগঠণের পক্ষ থেকে আগামী ২০ ডিসেম্বর ভারত- বাংলাদেশ কবি ও সাহিত্যিক সম্শেলনে সম্মাননা জানান হবে।কিসে কষ্ট পান এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সেই সময়ে কষ্ট পাই যখন মানুষ অহেতুক ভুল বোঝে।
Leave a Reply