২৫ জানুয়ারী ২০১৯(সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি):
৯০ দশকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুর রহমান সিরাজের উপর নেমে আসে দু’টি নাশকতা মামলা। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের কারণে নাশকতা মামলার জালে আটকা পড়ে মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। শিক্ষা জীবন শেষ করতে না পারলেও বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসতেন পাগলের মত। বঙ্গবন্ধু পাগল এ নেতা এবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নানের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হতে চান। ইতিমধ্যে তিনি উপজেলার সর্বত্র পোস্টারিং করে প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন এবং গ্রামে গ্রামে গণসংযোগে রয়েছেন ব্যস্ত। ভোটের মাঠে ত্যাগী এ নেতাকে ঘিরে চলছে সরব আলোচনা। ভোটারদের মনে প্রশ্ন এ মানুষটি জীবনে কোন রাজনৈতিক সুবিধা নেননি। দলবাজী করে অর্থবৃত্তের মালিক হননি। ত্যাগী এই নেতাকে কি জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকার মাঝি বানাবেন ? ভোটের মাঠে তাকে ঘিরে যেমন আকুতি রয়েছে তেমনি শুনা যাচ্ছে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের গল্প। ৮০ দশকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও শেষদিকে এসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ লাভ করেন। এবং শেষের দিকে জাতীয় শ্রমিক লীগের জেলা সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। টানা ১৮ বছর তাঁর হাতেই শ্রমিক লীগের দায়িত্ব ছিল। ২০১৪-২০১৫ সালে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পদ লাভ করেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে রয়েছে তার বিশাল ভূমিকা। তাঁর নিজ গ্রাম দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া গ্রামে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের লক্ষে কমিউনিটি ক্লিনিকের নিজের ভূমি দান করে দিয়েছেন। এদিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত সহ সভাপতি, রেড়ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য, জেলা কারাগারের বেসরকারি পরিদর্শক, অগ্নিবীণা ক্রিকেটার ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সিরাজুর রহমান সিরাজ জানান,ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ লালন করে আসছি। জীবনে কোনো সুবিধা নেইনি, বরং দলের জন্য ত্যাগী এ জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছি। এবার জনতার ভালবাসায় উপজেলায় নৌকার মাঝি হতে চাই। এম.এ মান্নানের হাত ধরে উপজেলাকে উন্নয়নের মহাসড়কে রূপান্তর করতে দৃপ্ত অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তিনি।
Leave a Reply