টিপু চৌধুরী :: গুটি কতক ছাগল মিলে একটা গরুর রচনা লিখলো আর জোড়াতালির চিত্রায়নে নিজেদের গর্দভ বলে পরিচয় দিল।বাটপারিতেও এরা পারদর্শী নয়।যার প্রযোজক পরিবেশক, এডিটর,গলা ভাডাটিয়া সবাই ফ্লপ।
বিদেশে অবৈধতা বিষয়ে ২০১৫-১৬ সালের ইমিগ্রেশন ল’ইয়ারদের ভিডিও ক্লিপস অডিও এডিট করে এই কারসাজিতে তারা ধরা খেয়েছে।সেনা প্রধানের পারিবারিক এই বিষয়টা যদি আল জাজিরা যদি ২০১৫ সাল থেকেই জানে তাহলে ঐ দালাল সাংবাদিক ও তার দোসররা এতদিন চুপ থাকলো কি কারণে ?
আল জাজিরা বললো তাদের প্রশাসন এই ছাগলামির দায়ভার নিতে রাজি নয়।ভাড়াটিয়া সাংবাদিক, সংবাদ ও এডিটিং জালিয়াতিতে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় সরকার হটানো যায় না। শেখ হাসিনার অর্জনের বিশালত্বের কাছে এসব ভেসে যাবে।সমস্যা হচ্ছে আস্হাবানরা যখন তাদের চরিত্র বিসর্জন দিয়ে আস্থাহীন হয়ে উঠে তখন।আর এর দায়ভার সরকারের সব অর্জনকে চ্যালেন্জ করে বসে।
কোন দেশের জেনারেল যদি ছাগলদের মুত্রে আছাড় খায় তাহলে তাকে হাবিলদার হিসেবে নতুন প্রমোশন দিলে আমি বিস্মিত হবো না। অভিযোগ প্রমাণের আগে পদত্যাগের ইতিহাস অন্তত আমাদের নেই। নিউ ইয়র্কে বেতন ভূক্ত কানা সরওয়ারের কানের নীচে দিলেও লাভ নেই।প্রযোজক তো বিলাতে বসে বায়োস্কোপ বানান।গাধায় গাধায় ধূল পরিমাণ -গামছা বতাস ।
কিছু দেশবিরোধী অমানুষ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য গোপনে,প্রকাশ্যে দেশে-বিদেশে বসে দেশের ইমেজ জলান্জলি দিচ্ছে,যা খুশী তাই করছে।এরা আই.এস.আই ও খুনীদের দোসরদের এর সাথে হাত মিলিয়ে আবারও এই দেশটাকে ৭৫ এর কাছে নিয়ে যেতে চাইছে।এদের দেশে বিদেশে প্রতিহত করার কোন বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার বাধাসৃষ্টিকারী কারোরই ক্ষমা নেই।দেশে একটা ট্রেডিশন শুরু হয়েছে -প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী,রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের যে কেউ স্বেচ্ছায় তার পেশাগত ও ব্যাক্তিগত চরিত্র হারালে তার দায়ভার পড়ে শেখ হাসিনার উপর।যদি তাই হয় সর্বদলীয় দুর্নীতি বিরোধী টাস্কফোর্স সম্মিলিত প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধীনে তাদের চিরুনী অভিযানটা শুরু করুক আজই।
দলমত নির্বিশেষে আপাতত ১০ লক্ষ দূর্নীতিবাজের জন্য নতুন জেল নির্মাণের কাজটা এখনই শুরু হোক।শেখ হাসিনার হাত ধরেই এ কাজটা হতে হবে-এখনই,নতুবা যে আলোকিত বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি তা স্বপ্নই থেকে যাবে।শকুনরা আবার থামছে ধরবে আমার পতাকা।তখন এখনকার অনেক নব্য হাইব্রীড দলবাজদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।বিভীষণরা সব সময় ঘরের শত্রু বলেই চিহ্নিত হয়।বঙ্গবন্ধুর জীবনের দাম থেকে যদি আমরা এবারও শিক্ষা নিতে ভূল করি তাহলে পরিণতি আমাদেরও ক্ষমা করবে না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের মনে রাখতে হবে দলের নেতা কর্মীদের ভোটে যেমন সরকার তৈরী হয় না অথচ নেতা কর্মীদের কারণেই দল বিপর্যয়ে পড়ে।ক্ষমতায় থাকতে যে সরকার তার দল গোছাতে পারে না ,ক্ষমতা হারালে তা কোন ক্রমেই সম্ভব নয় -মর্মে মর্মে তা অনুভূত হয়।আর কোন ছাড় নয়।এমন এক অভিযান শুরু হোক যার নামে কেঁপে কেঁপে উঠে ধ্বংস হোক সকল দূর্নীতিবাজ ,রাজনৈতিক ও প্রসাশনিক পতিতারা।সাড়ে সাত বাঙালির স্বাধীনতার জন্য যদি তিরিশ লক্ষ প্রাণ আত্মাহুত দিতে পারে তাহলে ১৭ কোটি মানুষের মানবিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য আপাতত ১০ লক্ষ দূর্নীতিবাজদের ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠালে এই ratio ‘র বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলবে না।শুধু আমাদের তৈরী থাকতে হবে আমাদের যে সব ভাই ,বন্ধু,আত্মীয় স্বজন দূর্নীতিবাজ তাদেরকে আমরা হারাতে চলেছি।
বাংলাদেশের মানুষের সম্পদের তালিকাভূক্তি ও বাংলাদেশের টাকা বা কারেন্সি বাতিল করাটা এখন সময়ের দাবী।নতুন কারেন্সী আসলে কালো টাকার দূর্নীতিবাজ মালিকরা ইঁদুরের মত গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। বাঙালিদের জাতিগত চরিত্র বুঝেই বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্র ,সমাজতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন।নূতন প্রজন্ম দেখছে অথর্ব, মেধাহীন প্রতিপক্ষ আর নিজের পায়ে কুড়াল মারা সরকারী পক্ষ।
আগামী দশ বছরে বাংলাদেশের সবদলের প্রথমসারির প্রবীন সব রাজনৈতিক নেতারা চলে যাবেন পরপারে।শকুনরা সব হামলে পড়ার অপেক্ষায় আছে।বিশাল শূন্যতায় কার কোন যোগ্যতায় বাংলাদেশ চলবে তার প্রস্তুতিটা এখন থেকেই শেখ হাসিনার হাত দিয়েই শুরু হোক,হোক অন্য দলের নেতাদের হাত ধরেও।যাতে বাঙালি জাতি তাকে কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে শত শতাব্দী।যার যার জায়গা থেকে পরিশুদ্ধ হতে না পারলে আবার আমরা নতুন উপনিবেশকতার দাস হবো।আমাদের ভূলে গেলে চলবে না আমাদের ছিল এবং এখনও মিশে আছে কিছু মীরজাফর,কিছু মোশতাক, ৭১,৭৫ এর খুনীরা ।
আইনের জন্য মানুষ নয়,মানুষের জন্য আইন।বাংলাদেশের আইনটা আইন হয়ে উঠুক নতুন করে।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নযোদ্ধাদের আবার মাঠে নামার সময় এসেছে দেশের মানুষদের পাশে নিয়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নে আবার জ্বলে উঠুক আমাদের বাংলাদেশ।
টিপু চৌধুরী, বস্টন থেকে
Leave a Reply